বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

উটপাখির ঘরে নতুন অতিথি

মোস্তফা কাজল

উটপাখির ঘরে নতুন অতিথি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে উটপাখির বাচ্চা ফুটেছে। নির্ধারিত বেষ্টনীর ভিতরে দ্বিতীয়বারের মতো পার্কে উটপাখি বাচ্চা দিয়েছে। গতকাল রাতে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানান। গতকাল ভোরে উটপাখির বাচ্চাটি তত্ত্বাবধায়ক নিখিল চন্দ্রের দৃষ্টিতে আসে। পরে দ্রুত মা উট পাখি ও বাচ্চাকে আলাদা করে পর্দা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। কর্তৃপক্ষ জানায়, বালুময় বিস্তীর্ণ মরুভূমি অঞ্চলের প্রাণী উট পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফুটেছে গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। সমতল ভূমিতে উড়তে না পারা সবচেয়ে বড় পাখি হলো উট পাখি। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক পরিবেশে ডিম থেকে উট পাখির বাচ্চা ফোটা বিরল ঘটনা। পার্ক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, নির্ধারিত বেষ্টনীতে ছয়টি উটপাখি রয়েছে। ভিতরে ছড়ানো ছিটানো বেশ কিছু ডিম পড়ে রয়েছে। আরও কিছু ডিমে পালা করে তা দিচ্ছে নারী ও পুরুষ উটপাখি। দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র জানান, গতকাল ভোরে বেষ্টনীর কাছে দেখতে পাই একটি ডিম নিয়ে মা পাখি বেশি নাড়াচাড়া করছে। কাছে গিয়ে একটি বাচ্চা চোখে পড়ে। প্রায় দেড় মাস আগে ১৫টি ডিম নিয়ে পুরুষ ও নারী উট পাখি ডিমে তা দিয়ে একটি বাচ্চা ফুটিয়েছে গতকাল। আরও কয়েকটি বাচ্চা ফুটবে বলেও আশা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। পার্ক সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ২১ জুন ও ৩০ জুন সুদূর আফ্রিকা থেকে ফ্যালকন ট্রেডার্সের মাধ্যমে ক্রয় করা হয় ছয়টি উট পাখি। পরে ইমু পাখির বেষ্টনীর দক্ষিণ পাশের বেষ্টনীতে রাখা হয় উট পাখিগুলো। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার ডিম দিলেও বাচ্চা ফোটেনি। এ পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার আনিসুর রহমান জানান, আকারে সবচেয়ে বড় উট পাখি ক্যাটিভে (আবদ্ধ স্থান) অবস্থায় ৬০ বছর বেঁচে থাকে। আর নেচারে (প্রকৃতিতে) বাঁচে ৪০-৪৫ বছর। এদের ওজন হয় প্রায় ৬৩ কেজি থেকে ১৪৫ কেজি পর্যন্ত। তবে পুরুষ পাখির ওজন ১১৫ কেজি ও নারী পাখির ওজন ১০০ কেজি হয়ে থাকে। এরা ঘণ্টায় ৭০ কি.মি. গতিতে দৌড়াতে পারে। এদের ডিমও আকারে সবচেয়ে বড় হয়ে থাকে। পুরুষ পাখির শরীর কালো রং আর লেজ সাদা রঙের হয়ে থাকে। নারী পাখির সারা শরীরই ধূসর বাদামি রঙের হয়ে থাকে। সাহারা উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব আফ্রিকা আঞ্চলে পাওয়া যায় উট পাখি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর