বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

এক দিনে বিতরণ হবে এক কোটি চারা ব্যয় ১৮ কোটি টাকা

নিজামুল হক বিপুল

এক দিনে বিতরণ হবে এক কোটি চারা ব্যয় ১৮ কোটি টাকা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে সারা দেশে গাছের এক কোটি চারা বিতরণ করবে বন বিভাগ। এর মধ্যে অন্তত অর্ধেক হবে ফলদ বৃক্ষ। বাকি অর্ধেক হবে বনজ, ঔষধি ও দুর্লভ প্রজাতির। মুজিববর্ষ   উপলক্ষে আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিনে দেশব্যাপী একযোগে চারা বিতরণের এই বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিতরণকৃত চারা যথাযথভাবে রোপণ করা হযেছে কিনা সেটি তদারকি করবে উপজেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটি। আর চারা কারা পাবেন সেটা নির্ধারণ করবে ওই কমিটি। এক কোটি চারা তৈরি ও বিতরণে ব্যয় হবে ১৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে নয় কোটি টাকা চেয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বন বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়েল বিশেষ কর্মসূচি হচ্ছে দেশব্যাপী এক কোটি গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ। বন বিভাগের মাধ্যমে এই চারা বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছে বন বিভাগ। বন অধিদফতরের সহকারী প্রধান বন সংরক্ষক (অর্থ, বাজেট ও সাধারণ নির্দেশনা) অজিত কুমার রুদ্র বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, মুজিববর্ষকে সামনে রেখে এক কোটি বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যে চারা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সারা দেশে যেসব জেলা ও উপজেলায় বন বিভাগের দফতর রয়েছে সেসব দফতরের অধীনে সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নার্সারিতে গাছের চারা তৈরি করা হচ্ছে। তিনি জানান, এসব চারার মধ্যে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি কমপক্ষে অর্ধেক চারা হবে ফলদ গাছের। বাকি অর্ধেক হবে বনজ, ঔষধি ও দুর্লভ প্রজাতির। এসব চারা তৈরি করা থেকে বিতরণ পর্যন্ত ১৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে চারা তৈরিতে ব্যয় হবে ১২ কোটি টাকা। প্রতিটি চারা তৈরিতে খরচ ধরা হয়েছে ১২ টাকা করে। এর বাইরে যে ৮৮টি উপজেলায় বন বিভাগের নার্সারি নেই, সেসব উপজেলায় চারা পাঠাতে পরিবহন খরচ হবে আড়াই কোটি টাকা। বাকি টাকা ব্যয় হবে ৪৯২ উপজেলায় অনুষ্ঠান আয়োজনে। যে অনুষ্ঠান থেকে চারা বিতরণ করা হবে। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চারা বিতরণের ক্ষেত্রে উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি যাদের তালিকাভুক্ত করবেন শুধুমাত্র তাদেরকেই বৃক্ষের চারা দেওয়া হবে। সহকারী প্রধান বন সংরক্ষক জানিয়েছেন, তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বৃক্ষপ্রেমীদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। বিতরণকৃত চারা যথাযথভাবে রোপণ করা হয়েছে কিনা- সেটিও তদারকি করা হবে।

এক্ষেত্রে ইউএনও এর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সেটি তদারকি করবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তদারকি কাজে সহযোগিতা করবেন।

সর্বশেষ খবর