সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

ঢাকা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সমাপনী অনুষ্ঠানে গতকাল মঞ্চ মাতান কলকাতার জনপ্রিয় শিল্পী অঞ্জন দত্ত ও বাংলাদেশি শিল্পীরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ২১ দিনের ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকজ খেলা, পালা, একক সংগীত, বাউল সংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য, যাত্রা, সমবেত নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, পুতুলনাট্য, একক আবৃত্তি, শিশুদের পরিবেশনা, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগীত ও নৃত্য, নাটকের কোরিওগ্রাফি, বৃন্দ আবৃত্তি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের পরিবেশনা, আঞ্চলিক ও জেলা ব্র্যান্ডিংবিষয়ক সংগীত ও নৃত্য এবং জেলার ঐতিহ্যবাহী ভিডিওচিত্র প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজনে সাজানো হয়েছে এ উৎসব। আর এসব সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞে অংশ নিচ্ছেন দেশের ৬৪ জেলা, ৬৪ উপজেলা ও জাতীয় পর্যায়ের ৫ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠন। এ ছাড়া একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টায় থাকছে একটি লোকনাট্যের পরিবেশনা। গতকাল ছিল উৎসবের সপ্তদশ দিন। যথারীতি বিকাল ৪টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে একাডেমির নন্দনমঞ্চে শুরু হয় এদিনের আয়োজন। এরপর অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শন করেন শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পর্বে সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শুপ্ত, সাফিন ও শুশমি। একক সংগীত পরিবেশন করে প্রিয়াংকা রবিদাস। দলীয় আবৃত্তি করে স্বরব্যঞ্জন এবং একক আবৃত্তি করেন শিমুল মুস্তফা। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যাঙ্গন, সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা। জেলা পরিবেশনা পর্বে অংশ নেন ফরিদপুর, নোয়াখালী ও শেরপুরের শিল্পীরা। সবশেষে রাত ৮টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে পরিবেশিত হয় কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ‘ঝান্ডির গান’। ২৩ জানুয়ারি শেষ হবে এ উৎসব। শেষ হলো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব : ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগান নিয়ে একযোগে রাজধানীর নয়টি ভেন্যুতে শেষ হলো নয় দিনের ‘অষ্টাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-২০২০’। বাংলাদেশসহ ৭৪টি দেশের ২২০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয় এবারের উৎসবে। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য, চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১১৭, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১০৩। এর মধ্যে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ছিল ২৬টি। যার মধ্যে ১৮টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য। গতকাল জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সভাপতিত্ব করেন উৎসব কমিটির নির্বাহী সদস্য ম. হামিদ। এবারের উৎসবে অংশ নেওয়া উল্লেখযোগ্য দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আরমেনিয়া, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, ভুটান, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, কিউবা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, প্যালেস্টাইন, জার্মানি, গ্রিস, হংকং, হাঙ্গেরি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইতালি, জাপান, কাজাখস্তান, কসোভো, কিরগিজস্তান, লাটভিয়া, লেবানন, লুকসেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নেপাল।

 নরওয়ে, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, কাতার, রাশিয়া, স্লোভানিয়া, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, সিরিয়া, তাইওয়ান, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভেনেজুয়েলা, সাইপ্রাস ও স্বাগতিক বাংলাদেশ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর