মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত জবই বিল

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত জবই বিল

নওগাঁর সাপাহারের ঐতিহ্যবাহী জবই বিল এখন অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত। সুদূর রাশিয়া, সাইবেরিয়াসহ বিশ্বের শীতপ্রধান দেশ থেকে শত শত পাখি এসে সৌন্দর্যের বিকাশ ঘটাচ্ছে। অতি প্রত্যুষে সরেজমিন দেখা গেছে, পিয়াং হাঁস, পাতি সরালি, লেঙজা হাঁস, বালি হাঁস, পাতি কূটসহ দেশি জাতের শামুকখোল, পানকৌড়ী, ছন্নি হাঁস বিল এলাকা মুখরিত করে তুলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কঠোরতা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সদস্যদের নজরদারিতে বিল এলাকায় যে কোনো ধরনের পাখি শিকার বন্ধ রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে দেশ-বিদেশ থেকে হরেক রকম পাখির আগমনে পুরো বিল এলাকা পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে উঠছে। কয়েক বছর ধরে ওই এলাকার কিছু উৎসাহী যুবক ‘জবই বিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সমাজকল্যাণ সংস্থা’ নামে একটি সংগঠন তৈরি করে বিলে অতিথি পাখিসহ সব ধরনের পাখি শিকার বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। এ ছাড়া বিলে কোনো কচুরিপানা না থাকলেও সরকারি ও বেসরকারিভাবে মৎস্যজীবীরা খরা মৌসুমে বিলের পানি শুকিয়ে গেলে মা মাছ রক্ষায় বেশ কিছু এলাকায় বাঁশ, কাঠ ও কচুরিপানা দিয়ে কাঠা নামে একটি করে মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তোলে, খরা মৌসুমে মা মাছগুলো যাতে ওই স্থানে লুকিয়ে থাকতে পারে। বর্তমানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সদস্যদের প্রচেষ্টা ও মৎস্যজীবীদের তৈরিকৃত কচুরিপানার কাঠা থাকায় অতীতের মতো আবারও শীত মৌসুমে দেশি-বিদেশি পাখি আসতে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে বিলের বিশাল অংশে কচুরিপানা দিয়ে মাছসহ পাখিদের বড় ধরনের অভয়াশ্রম এবং বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে বনাঞ্চল তৈরি করলে সারা বছর বিল এলাকায় পাখিদের আনাগোনায় জবই বিল আবারও ফিরে পেত তার ঐতিহ্য ও নাব্যতা- জানিয়েছেন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সোহানুর রহমান। ইতিমধ্যে অনেক পাখিপ্রেমিক পাখির সৌন্দর্য দেখতে বিল এলাকায় ছুটে আসছেন। বিল পাড়ে পর্যটকদের জন্য ঘোরাফেরা ও বসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হলে সাপাহারের জবই বিলটি একটি পর্যটন কেন্দ্রে রূপ নিতে পারে।

 তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জবই বিলটিকে একটি ঐতিহ্যবাহী পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর