শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

কমেছে পিয়াজের দাম বাড়ছে আদা-রসুনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে পিয়াজের দাম। কমছে শীতকালীন সবজির দামও। তবে রমজান যত ঘনিয়ে আসছে ততই দাম বাড়ছে মসলার। দাম বেড়েছে বয়লার মুরগিরও। আর দামে কোনো পরিবর্তন নেই মাংসের        বাজারে। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কাঁঠালবাগান, গ্রিনরোড, হাতিরপুল বাজার, নিউমার্কেট, পলাশি বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্রের দেখা মিলেছে। এসব বাজারে বর্তমানে দেশি পিয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে এবং মিয়ানমারের পিয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে উল্টো চিত্র দেখা গেছে আদা ও রসুনের দামে। চীন থেকে আমদানি হওয়া প্রতি কেজি রসুনের দাম ১৯০ টাকা, বাংলাদেশি রসুন প্রতি কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া চীনের আদা ১৭০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন আলু ২০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, সিমের বিচি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দাম কমে প্রতি পিস বড় সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা পিস, পিয়াজের কলি ১০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা রহমান মিয়া বলেন, ‘দেশি রসুন বাজারে আসতে শুরু করেছে। এতে রসুনের দাম কিছুটা কমতে পারে।’ বাজার করতে আসা নুর হোসেন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তি রাখতে ব্যবসায়ীদের অজুহাতের কমতি নেই। প্রতিদিন হু হু করে বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। এতে লাভবান হচ্ছে একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নি¤œআয়ের মানুষজন। মাংসের বাজারে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতো মাংসের দাম একই রকম রয়েছে, বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা এবং বকরির মাংস ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, কক ১৮০ টাকা, পাকিস্তানি ২১০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মসলার বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ মসলার দাম বেড়েই চলেছে। প্রতি কেজি এলাচ পাঁচ হাজার টাকা, দারচিনি ৪৫০ টাকা, লং ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার করতে আসা ক্রেতা আমির চৌধুরী বলেন, রমজান আসার আগেই মসলার দাম যে হারে বেড়ে চলেছে, তাতে নতুন করে আর দাম বাড়ার কী আছে। নেই কোনো ধরনের নজরদারির ব্যবস্থা।’ মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ ১৮০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ টাকা, সরপুঁটি ২০০ টাকা, রুই মাছ ২৫০ টাকা, ছোট মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর