বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

মোদির বক্তৃতাকে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক দেখছেন রাজনীতিবিদরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া ভাষণকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা। তারা বলেছেন, এই ভাষণ দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রাজনৈতিক নেতারা গতকাল পৃথক বিবৃতি ও বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে মোদির ভাষণকে স্বাগত জানিয়েছেন।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ‘মোদির ভাষণ দুই দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে এ সম্পর্কের বন্ধন তৈরি হয়। এ সম্পর্ক উভয় দেশকে অটুট রাখতে হবে।’ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ভাষণ দিয়েছেন আমি তাকে সাধুবাদ জানাই। তিনি মৃতপ্রায় সার্ককে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অনেক প্রশংসার যোগ্য। উপমহাদেশের দেশগুলোকে এগিয়ে নিতে হলে ভারতকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পরস্পরের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’ ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এমপি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৩০ কোটি মানুষের দেশের প্রধানমন্ত্রী যে ভাষণ দিয়েছেন, আমি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে একজন মুজিব অনুসারী হিসেবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি তার বক্তব্যে জাতির জনককে শতাব্দীর অন্যতম মহান ব্যক্তিত্ব বলেছেন। তিনি বাঙালি জাতির গৌরবকে, বাংলাদেশের মানুষকে সম্মানিত করেছেন। আমার বিশ্বাস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতবাসীর পক্ষে যে ওয়াদা করেছেন, আগামী দিনে বাংলাদেশ-ভারতের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের মধ্য দিয়ে তা বাস্তব রূপ লাভ করবে।’ সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেছেন, ‘জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের ১৩০ কোটি লোকের পক্ষ থেকে আমাদের মহান নেতা এবং বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটি নিঃসন্দেহে বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও সহানুভূতির উদাহরণ। তিনি মুজিব শতবর্ষে আমাদের জাতির জনককে সব শুভকর্মের উৎস হিসেবে অভিহিত করেছেন।’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারত অনেক গুরুত্ব দেয়। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে সে সম্পর্ক উচ্চপর্যায়ে আছে। বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে স্থল, নৌ, আকাশপথে বাংলাদেশের যে কানেকটিভিটি আছে, তা ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুসম্পর্কের পরিচয় বহন করে।’ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘নরেন্দ্র দামোদর মোদি আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় অবদানকে স্মরণ করে যে অতুলনীয় সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বক্তব্য রেখেছেন, এর জন্য আমি তাকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই।’ তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি (মোদি) মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশ সফর করতে না পারলেও ভিডিও কনফারেন্সে তার জ্ঞানদীপ্ত ভাষণে বাংলাদেশের মানুষের প্রতি একান্ত অনুভূতি ও আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আমি মনে করি, তার এই ভাষণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও বেগবান ও গতিশীল হবে, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিরাজমান নিবিড় সম্পর্ক আরও গভীরতর করতে এবং অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের পথকে সুগম করবে।’ বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে শুভেচ্ছাবার্তা প্রদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর