বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

হোম কোয়ারেন্টাইনে রাজনীতিবিদরা

মাহমুদ আজহার ও রফিকুল ইসলাম রনি

হোম কোয়ারেন্টাইনে রাজনীতিবিদরা

মরণঘাতী করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরাও এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে। বিশেষ করে বয়স্ক রাজনীতিবিদদের সবাই এখন পূর্ণ বিশ্রামে চলে গেছেন। গণভবন থেকে সবকিছু মনিটরিং করছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মন্ত্রী, এমপি, সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, দলের নেতা-কর্মীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে ৭৫ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে যান। শুধু চিকিৎসকরাই বেগম জিয়ার কাছে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। এর আগেই অবশ্য দলের সিনিয়র নেতারা স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ঘোষণা দেন। দলের সাংগঠনিক সব কর্মকান্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়। দলের নয়াপল্টন ও গুলশান কার্যালয় তালাবদ্ধ। নেতা-কর্মীদের কার্যালয়ে যেতে মানা করে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মকান্ড স্থগিত করলেও দলের পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকেও নিয়মিত এলাকায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষগুলোর কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে নিয়মিত বসছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। করোনা মোকাবিলায় এই মুহূর্তে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি।

আওয়ামী লীগ : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বয়সের কারণেই এখন পুরোদমে বাসায় বিশ্রামে আছেন। দলের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু রাজধানীর ইস্কাটনের বাসায় রয়েছেন। একই অবস্থা আরেক প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদেরও। তিনিও রাজধানীর বনানীর বাসায় থাকছেন। তবে দুজনই নির্বাচনী এলাকায় নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষগুলোর মধ্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। নিয়মিত ফোনে খোঁজখবর রাখছেন নির্বাচনী এলাকার।

গতকাল সংসদ ভবনের নিজ বাসা থেকে বের হননি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া অন্যদিনগুলোতে তিনি ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে বসেছেন। সারা দেশে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে টেলিফোনে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও ত্রাণ উপকমিটির ত্রাণ বিতরণ তদারকি করছেন তিনি। পাশাপাশি সমসাময়িক ইস্যুতে ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বাসা থেকে খুব একটা বের হচ্ছেন না আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহারা খাতুনও। তবে তার নির্বাচনী এলাকায় ত্রাণ তৎপরতার খোঁজখবর রাখছেন। এ ছাড়াও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কাজী জাফরউল্লাহ, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ, লে. কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান, শ্রী রমেশ চন্দ্র সেন, আবদুল মতিন খসরু, আবদুল মান্নান খান, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। তারা বাড়িতে থাকলেও নিজ নিজ এলাকার গরিব-অসহায় মানুষদের খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়ে দিয়েছেন। মোহাম্মদ নাসিম ১৪ দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বিবৃতিও পাঠাচ্ছেন। নাসিমের পক্ষ থেকে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তারা সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী মাঝে মধ্যেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে যাচ্ছেন। ত্রাণ উপকমিটির করোনা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন তিনি। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক কৃষি মন্ত্রী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী এবং ড. হাছান মাহমুদ তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করায় রাষ্ট্রীয় কাজে তাদেরকে প্রায়ই বের হতে হচ্ছে। গতকাল বিকালেও ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, শফিউল আলম নাদেল, সাখাওয়াত হোসেন শফিক হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তবে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও মির্জা আজম নিজ এলাকায় ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ছাড়াও সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার খবর পাওয়া গেছে, বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান, ড. শাম্মী আহমেদ, নজিবুল্লাহ হিরু, ফরিদুন্নাহার লাইলী, ড. সেলিম মাহমুদ, আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রকৌশলী আবদুস সবুর, মৃণাল কান্তি দাস, হারুনুর রশিদ, শামসুন নাহার চাঁপা, হাবিবুর রহমান সিরাজ। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার দু-এক দিন নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে গরিব অসহায় মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন। সংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল নির্বাচনী এলাকায় যাওয়া-আসার মধ্যে রয়েছেন।

হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সুযোগ নেই দলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর। তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিয়মিত ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন উপকমিটির সদস্যদের নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগ, পেশাজীবী সংগঠন, হাসপাতাল ও সামাজিক সংগঠনগুলোতে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ করছেন তিনি। একই অবস্থা দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপদফতর সম্পাদক মো. সায়েম খানের। তারাও নিয়মিত দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে দলের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা সাংগঠনিক ইউনিটগুলোতে পৌঁছে দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ঝুঁকি নিয়েও কাজ করে যাচ্ছেন। উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন কয়েকদিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর গতকাল নিজ এলাকা চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় ত্রাণ বিতরণ করেছেন। কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের মধ্যে ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএ সভাপতি হওয়ায় নিয়মিত ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করতে হচ্ছে তাকে। আরেক সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তাকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, রাস্তাঘাট জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম তদারকি করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার খবর পাওয়া গেছে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, নুরুল ইসলাম ঠা-ু, বদরউদ্দীন আহমদ কামরান, দীপঙ্কর তালুকদার, বেগম আখতার জাহান, এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান, গোলাম কবির রাব্বানী চিনু, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ নেতাদের। দলের আরেক সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে নিয়মিত বসছেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় পাচ্ছেন না সরকারের অনেক মন্ত্রীও। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজ নিজ এলাকায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন তারাও। এর মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ অনেকেই।

বিএনপি : বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, জরুরি প্রয়োজনে কেউ কেউ নানা মাধ্যমে কথাবার্তা দিচ্ছেন। ভিডিও বার্তা, মোবাইল ফোন বা ই-মেইলে কথাবার্তা বলতে হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে বাসায় থাকতে বলা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসে লকডাউন হওয়ায় সারা দেশে গবির ও দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ ও ওষুধপত্র বিতরণে সতর্কভাবে কিছু কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

৭৫ বছর বয়সী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত। তিনি নিজেও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হন না। দলের প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে গণমাধ্যমে কথা বলেন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানালেন, এখন তিনি পুরোদমে উত্তরার নিজ বাসভবনে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তিনি জানালেন, এ মুহূর্তে বয়স্ক লোকদের জন্য ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাই শ্রেয়। গুলশানের বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি জানালেন, পুরো বিশ্বই এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে। যত বেশি সঙ্গ এড়ানো যাবে করোনো ঝুঁকি তত কমবে। ৯০ ছুঁই ছুঁই বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ধানমন্ডির বাসভবনে তিনি বেশ কয়েকদিন ধরেই হোম কোয়ারেন্টানে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানালেন, করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতেই তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে। তবে সব কিছুই ওপর ওয়ালার হাতে। আমাদের সাবধানে থাকা জরুরি। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জানালেন, এ ছাড়া আর উপায় কী? সারা বিশ্বের একই কথা, স্টে হোম। তাছাড়া আমাদের বয়সও তো কম হয়নি। করোনাঝুঁকি এড়াতে সবাইকে বাসায় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা যায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পর্যায়ে আবদুল্লাহ আল নোমানও বন্ধ হওয়া চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের পরপরই হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে যান। হোম কোয়ারেন্টাইনে ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, হাফিজ উদ্দিন আহমদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহানসহ সবাই। এর মধ্যে বরকত উল্লাহ বুলু সপরিবারে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নিজের গ্রামের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে।

সূত্রমতে, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক থেকে শুরু করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ৫০২ সদস্যের কমিটির সবাই নিজ নিজ বাড়িতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। তবে জেলাপর্যায়ের নেতা ও বিগত সময়ে এমপি প্রার্থীরা নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় ত্রাণ, মাস্কসহ নানা সামগ্রী বিতরণও করছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সাধ্যমতো এলাকায় কর্মী সমর্থকসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। বিশেষ করে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা কয়েকদিন ধরে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন। বিএনপি ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাবের মাধ্যমেও করোনো মোকাবিলায় নানা সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

বাসায় অবস্থান করছেন ড. কামালসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারাও : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে। তার দল গণফোরামের শীর্ষ নেতারাও হোম কোয়ারেন্টাইনে। এ ছাড়া ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির প্রধান আ স ম আবদুর রব ও বাসাবাড়িতেই অবস্থান করছেন। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়কও বাসা থেকে নিয়মিত লাইভে বক্তব্য দিচ্ছেন। গতকালও তিনি লাইভে বক্তব্য দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে তিনি নেই, তবে বাসায় আপাতত অবস্থান করছেন।

হোম কোয়ারেন্টাইনে ২০ দলের নেতারাও : বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারাও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বাসা বাড়ি থেকেই মাঝে মধ্যে গণমাধ্যমে কেউ কেউ বিবৃতি দিচ্ছেন। জানা যায়, জোটের শরিক দল এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমসহ অন্য দলগুলোর সিনিয়র নেতারাও হোম কোয়ারেন্টাইনে।

ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীও হোম কোয়ারেন্টাইনে : বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ঘোষণা দিয়েই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরেই বারিধারার বাসায় অবস্থান করছেন। তবে তিনি লেখালেখিসহ নানা চিকিৎসা পরামর্শ অনলাইনে দিচ্ছেন। এ ছাড়া সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) আহ্বায়ক ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর