সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

গণ্ডি অতিক্রম করা কারও ঠিক হবে না

-আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক

গণ্ডি অতিক্রম করা কারও ঠিক হবে না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকারি চাকরিজীবী যারা তারা সরকারি আইন, বিধিবিধান অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। আর সামাজিক মাধ্যম সেটা হচ্ছে ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যম। সেখানে যদি তারা ব্যক্তিগত বিষয়ের বাইরে দাফতরিক গোপনীয় বিষয় বা অসত্য কোনো কিছু না দেন তাহলে আমার মনে হয় না কোনো সমস্যা। তিনি বলেন, আমি মনে করি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তারা কেউ অসত্য তথ্য দেবেন না, যেটা ক্ষতি করে। তারা প্রত্যেকেই তাদের ব্যক্তিগত বিষয় লিখবেন। আমি আমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কী লিখব বা কী দেব, এটা আমার বিবেক বলে দেবে। আমি এমন কিছু বলব না যেটা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি করে, সংকট সৃষ্টি করে। এমন কিছু বলব না যে পরীক্ষার মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই একটা গন্ডি আছে। প্রত্যেককেই সামাজিক গন্ডির মধ্যেই থাকতে হয়। আমি মনে করি, প্রত্যেকেই সেই গন্ডির মধ্যে, সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। গন্ডি অতিক্রম করা ঠিক হবে না। শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীই নন, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক যে কেউ হতে পারেন। তাদের পেশাগত দায়িত্ব, সামাজিক দায়িত্ব, নাগরিক দায়িত্ব, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব মেনেই তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করবেন। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সামাজিক মাধ্যম একটা শক্তিশালী মাধ্যম। একটা কিছু বলার সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্তের মধ্যেই সারা বিশ্বে তা ছড়িয়ে যায়। তাই এটা ব্যবহার করার যে সতর্কতা সেটা আগে আমাদের অনুধাবন করতে হবে। সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে এটার অপব্যবহার না হয়, এটার মাধ্যমে যেন কারও ক্ষতি না হয় সেটা মনে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, কাউকে অপবাদ দেওয়ার জন্য এটা ব্যবহার করা ঠিক নয়। ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করা বা কাউকে হেয় করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটা সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণের আওতায় আনা উচিত।

সর্বশেষ খবর