সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা

অভিযোগ গঠনের শুনানি ২ সেপ্টেম্বর

আদালত প্রতিবেদক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন (চার্জ) শুনানির জন্য ২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত। গতকাল  ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য অভিযোগপত্রভুক্ত কারাবন্দী আসামিদের আদালতে হাজির করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। নিয়মানুযায়ী আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়। কিন্তু করোনার কারণে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করতে না পারায় এর আগে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে যায়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ২৫ জনকে আসামি করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান গত বছরের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, গত বছরের ৬ অক্টোবর রাত ১০টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত আবরারকে পেটানো হয়। ২টা ৫০-এর দিকে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সময় ধরে তাকে পেটানো হয়েছে। আবরারকে হত্যায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন ১১ জন। তারাই আবরারকে কয়েক দফায় মারপিট করেন। বাকি ১৪ জন বিভিন্ন পর্যায়ে এ হত্যাকান্ডে  জড়িত ছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এস এম মাহমুদ সেতু, জিসান, তানিন,  মোর্শেদ ও রাফি। এর আগে গত বছরের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটে শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

সর্বশেষ খবর