বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ক্যামেরা দেখে শুয়ে পড়লেন সাহেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্যামেরা দেখে শুয়ে পড়লেন সাহেদ

সুস্থ হয়েও অসুস্থতার নাটক করলেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, ফারমার্স ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন গতকাল তাকে দুদক প্রধান কার্যালয়ে আনা হচ্ছিল। পথে বুকে ব্যথা উঠে অসুস্থ বোধ করলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে সাহেদ অসুস্থবোধ করলেও ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভিন্ন চিত্র। ভিডিওতে দেখা যায়, অসুস্থতার অভিনয় করা সাহেদ সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় বসে ছিলেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। এ সময় তার মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো ছিল। জরুরি বিভাগে বসেই তিনি সুস্থ মানুষের মতোই আচরণ করছিলেন এবং কথা বলছিলেন। তবে সাংবাদিকের ক্যামেরা দেখা মাত্রই অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালের বেডে শুয়ে পড়েন এবং রোগী সাজার চেষ্টা করেন। কয়েকদফা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা তাকে পুরোপুরি সুস্থ বলে মত দেন। এরপর গতকাল দুপুর ২টা থেকে ফের দ্বিতীয় দিনের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন সাহেদ।

এ প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন বলেন, সাহেদকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি কার্ডিওলজির জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার ইসিজি রিপোর্ট ভালো। এর আগে সোমবার রাতেও সাহেদকে বিএসএমএমইউ-তে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে জানান তিনি। নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, সার্টিফিকেট দেওয়া ও রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের দুটি হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করে র‌্যাব।

এরপর গত ১৫ জুলাই ভোরে র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদী তীরের সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়। অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সোমবার দুদক কার্যালয়ে প্রথম দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাহেদকে। একই কার্যালয়ে গতকাল ছিল তাকে দ্বিতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসার দিন।

সর্বশেষ খবর