ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেছেন, করোনাকালে দলে শুদ্ধি অভিযানের পর অনেক নেতা-কর্মীই আত্মগোপনে রয়েছেন। যারা বিগত দিনে প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে দলকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন তাদের কয়েকজন আটক রয়েছেন। এ শুদ্ধি অভিযানের কারণে দলের পরীক্ষিত ও সৎ নেতারা ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন। এটি দলের জন্য ভালো। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে জেলা আওয়ামী লীগকে যারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন তারা কখনই দলের জন্য কাজ করেননি। নিজেরা লুটপাট করতেই দলকে ব্যবহার করেছেন। তা থেকে আজ মুক্ত আওয়ামী লীগ। করোনাকালে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা যে যেভাবে পেরেছেন সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। আমাদের কাছে যে যখন সাহায্যের জন্য এসেছে আমরা দ্রুত তাদের সহযোগিতা করেছি। করোনায় আক্রান্ত অনেককে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেছি। তা ছাড়া গরিব ও অসহায় মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। তিনি বলেন, দলের সহসভাপতি শামীম হকের আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে বন্যার্তদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া দলের বেশ কিছু নেতার আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে নদী ভাঙন ও বন্যার্তদের সাহায্য দেওয়া হয়েছে; যা বর্তমানেও চলছে। তিনি আরও বলেন, আমি দলের সাধারণ সম্পাদক হলেও আমাকে কোনো কাজ করতে দেওয়া হয়নি। আমাকে মাইনাস করে দলের সুবিধাভোগী ও হাইব্রিড নেতারা সবকিছু করেছেন। আমি সব সময় এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। ফলে আমার অনুসারীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের অপমান-লাঞ্ছিত করা হয়েছে। হামলা-মামলা ও নানাভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে। সুবিধাবাদীরা লুটপাট আর সন্ত্রাসের মাধ্যমে নারকীয় অবস্থা তৈরি করেছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগের কারণে ফরিদপুর আওয়ামী লীগ এখন কলঙ্কমুক্ত। আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে। বিগত কয়েক বছর ধরে ফরিদপুর জেলার চিত্র ছিল উল্টো।