করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি আরও বাড়বে। তবে কতদিন বাড়বে তা শিগগিরই জানিয়ে দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আগামী সপ্তাহের সোম বা মঙ্গলবার জানানো হবে। গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি আরও বলেন, করোনার সময়ে ধাপে ধাপে আমরা ছুটি বাড়িয়েছি। এটি ছাড়া তো সম্ভব ছিল না। ধাপে ধাপে বাড়ানো ছাড়া একসঙ্গে অনেক ছুটি বাড়ানোর যুক্তি নেই। এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ছুটি বাড়াতেই হবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার স্বাস্থ্যবিধির দিকে নজর রাখছি। একই সঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও নজর রাখছি। সব দিক বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দীপু মনি বলেন, শীতকালে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে করোনার কারণে স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ পরীক্ষা ছাড়াই মূল্যায়ন চাইছেন। আমরা সেটিও নাকচ করছি না। কারণ, সব চেষ্টার পরও পরীক্ষা নেওয়া না গেলে আমাদের শিক্ষার্থীরা কি এগিয়ে যাবে না? সেক্ষেত্রে পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়নের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে, আমাদের সেটিও ভাবতে হবে। এইচএসসি ও সমমানের ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর সঙ্গে অভিভাবক, শিক্ষকসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ লোকের সম্পৃক্ততা থাকে এ পরীক্ষায়। যারা অধিকাংশই গণপরিবহন ব্যবহার করবেন। সেজন্য আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তিনি বলেন, এইচএসসির বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তার সবকিছু আমরা ঠিক করেছি। আগামী সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে পরিপূর্ণ পরিকল্পনা ঘোষণা করতে পারব। কতটুকু পরীক্ষা নেব, কী পদ্ধতিতে নেব সেটি সেদিন জানাতে পারব। এ পরীক্ষা শুরুর আগে অন্তত চার সপ্তাহ শিক্ষার্থীদের সময় দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা, আগামী এসএসসি পরীক্ষাসহ অনেক পরীক্ষা নিয়ে সবাই জানতে চান। কিন্তু এসব পরীক্ষা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। শিগগিরই আমাদের একটি সভা হওয়ার কথা আছে, সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা এখন নানা অপশন নিয়ে ভাবছি। পরীক্ষা না নিয়ে অটোপ্রমোশন দেওয়া, পরীক্ষা নিয়ে প্রমোশন দেওয়াসহ আমরা নানা বিষয় নিয়েই কাজ করছি। শিগগিরই এ বিষয়ে জানাতে পারব। এমসি কলেজে সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় মন্ত্রী বলেন, আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। এ ধরনের পরিস্থিতির যেন উদ্ভব না হয় সেজন্য আমাদের করণীয় কী, তা নিয়ে কাজ করছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম বিষয়ে দীপু মনি বলেন, যারা নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাচ্ছে না, তাদের আমরা বারবার তাগাদা দিচ্ছি। কেউ কেউ ইতিমধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে গেছে। তবে কারও বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ থাকলে সেটি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা আছে। মতবিনিময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক প্রমুখ সংযুক্ত ছিলেন।
শিরোনাম
- রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
- স্বর্ণের দাম বেড়েছে
- বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
- গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
- অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
- শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
- সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স
- তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
- ৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
- দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
- জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
- গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি
- শান্তি প্রচেষ্টা জোরদারে আলোচনার জন্য তুরস্কে জেলেনস্কি
- সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প
- কিবরিয়া হত্যায় ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় : র্যাব
- লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা