শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

সংক্রমণ হার আবারও বাড়ছে

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১৬৯৬, মৃত্যু ২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংক্রমণ হার আবারও বাড়ছে

করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগী শনাক্তের হার পর পর পাঁচ দিন ১১ শতাংশের নিচে থাকার পর ফের তা ১১ শতাংশ ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর আগে ১১ দশমিক ২৫ শতাংশ শনাক্তের হার ছিল গত ১৬ অক্টোবর, যা পরদিন ১০ এর ঘরে নেমে আসে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৯৫৮টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৬৯৬ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। একই সময়ে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে আরও ২৪ জনের। দেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ৯৪ হাজার ৮২৭ জনের দেহে। মৃত্যু হয়েছে মোট পাঁচ হাজার ৭৪৭ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন লাখ ১০ হাজার ৫৩২ জন। গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬৮৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় এখন পর্যন্ত সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনা সংক্রমণের সবশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট নমুনা পরীক্ষার ৯ হাজার ৭৪৩টি হয়েছে ঢাকার ভিতরে, পাঁচ হাজার ২১৫টি হয়েছে ঢাকার বাইরে। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বাইরে নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ৯২৫টি। মোট নমুনার ৩৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ পরীক্ষা করা হয় ঢাকার বাইরে, যা আগের দিন ছিল ৩০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ঢাকার বাইরে চার দশমিক ৩৮ শতাংশ পরীক্ষা বাড়ায় এক দিনের ব্যবধানে করোনা রোগী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশে। তবে গত ২০ অক্টোবর ঢাকার বাইরে ৩৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ নমুনা পরীক্ষার পরও শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ। এতে ধারণা করা হচ্ছে, দেশের ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় সংক্রমণ হারের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীত আসার আগেই অধিক সংক্রমণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে ভাইরাসটির বিস্তার রোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ইউরোপের অনেক দেশ ফের লকডাউনের দিকে যাচ্ছে। গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৪ জনের মধ্যে ১৮ জন ছিলেন পুরুষ ও ৬ জন নারী। সবারই মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে।

বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ১৩ জন ছিলেন ষাটোর্ধ্ব, আটজন পঞ্চাশোর্ধ্ব, দুজন চল্লিশোর্ধ্ব ও একজনের বয়স ছিল ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে ১৪ জন ঢাকা, ছয়জন চট্টগ্রাম,  তিনজন খুলনা ও একজন ছিলেন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কেউ মারা যাননি। দেশের কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর ১১ হাজার ৭৩০টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ৯ হাজার ৩৬১টি শয্যা গতকাল খালি ছিল। এ ছাড়া ৫৬৪টি আইসিইউর মধ্যে খালি ছিল ২৯১টি। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ও ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর