শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

সাগরে গভীর নিম্নচাপ, চার নম্বর সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাগরে গভীর নিম্নচাপ, চার নম্বর সংকেত

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে চার নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকার নদীবন্দরকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক এসব তথ্য জানান।

নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে গতকাল সকাল থেকে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির এই প্রবণতা আগামী দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। গতকাল পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ ২৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি বুধবার রাতেই সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছিল। গতকাল সেটি আরও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং দুপুরের পর গভীর নিম্নচাপের রূপ পায়।

ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

 এসব এলাকার ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। দেশের অন্য অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এসব এলাকায় দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে- উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। লঘুচাপের প্রভাবে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির এই প্রবণতা আগামী দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমে আসতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

চট্টগ্রামে দিনভর বৃষ্টি, বাড়ছে দুর্ভোগ : চট্টগ্রাম থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, চট্টগ্রামে গতকাল কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সকালের দিকে কম থাকলেও দুপুরের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। বৃষ্টির কারণে নগরবাসীর মধ্যে বেড়েছে দুর্ভোগ, ভোগান্তি। নগরের কাতালগঞ্জ, বাদুরতলা, চকবাজার, হালিশহর, ছোটপুল, বড়পুলসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়। তাছাড়া চলমান নানা উন্নয়ন কাজের মাটি ও নির্মাণসামগ্রী রাখার কারণে কর্দমাক্ত হয়ে যায় সড়ক ও ফুটপাথ। ফলে বেড়েছে নাগরিক দুর্ভোগ ও ভোগান্তি।

পতেঙ্গার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। আজ ও আগামীকাল এমন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সর্বশেষ খবর