রাজধানীর গুলশানে মুক্তিযোদ্ধা আমীন আহমেদ চৌধুরী সড়কের নামফলক পাকিস্তান হাইকমিশনের সামনের ফুটপাথে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। গতকাল সেখানে পুষ্পস্তবক দিয়ে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক একটি সংগঠন। দীর্ঘদিন পাকিস্তান হাইকমিশনের সামনে থাকা এ নামফলকটি সম্প্রতি উধাও হয়ে যায়। পরে উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নামফলকটি নতুন করে স্থাপন করা হয়। গতকাল সকালে ‘নব প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন’-এর নেতা-কর্মীরা পাকিস্তান হাইকমিশনের সামনের এ নামফলকে শ্রদ্ধা জানান। পরে সংগঠনের মহাসচিব রোমান আহমেদ সজীব সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন বীরবিক্রমের নামে থাকা সড়কের নামফলক তুলে ফেলার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছিল একটি কুচক্রী মহল। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে সেটি পুনরায় স্থাপন হওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, এই কুচক্রী মহল সারা জীবনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু আমাদের বাবা-চাচারা যে চেতনা থেকে দেশটাকে স্বাধীন করেছেন, তা আমরা কিছুতেই হারিয়ে যেতে দেব না। এ কারণেই আমরা সেখানে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। জানা যায়, গুলশানের ৭১ নম্বর রোডের ‘মুক্তিযোদ্ধা আমীন আহমেদ চৌধুরী সড়ক’ নামফলক নিয়ে ২০০৮ সাল থেকেই টানাপোড়েন শুরু করে পাকিস্তান হাইকমিশন। এক সময় গুলশান এভিনিউ প্রান্তে সড়কটির একেবারে গোঁড়ায় অবস্থিত হাইকমিশনের দুই পাশে দুটি নামফলক ছিল। কিন্তু এখন একটি রয়েছে। ২০০৮ সালে এ নামফলক সরানোর জন্য পাকিস্তানের তৎকালীন হাইকমিশনার আলমগীর বাবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেনদরবারও করেন। সে সময় ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, রাস্তাটির নামকরণ হচ্ছে রাষ্ট্রের সার্বভৌম ইচ্ছায়। ঘটনাচক্রে এ সড়কে পাকিস্তান হাইকমিশন স্থাপন হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ একটি বাস্তবতা। পাকিস্তানের উচিত বাস্তবতা মেনে ক্ষমা প্রার্থনা করা।