সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেছেন, সারা বিশ্বই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু সারা বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থায় ধস নামাতে পারেনি করোনা। শুধু এ দেশেই অটো পাস দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এভাবে অটো পাস দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী কোনো দেশও অটো পাস দেয়নি। আসলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ছুটি দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে সাম্প্রতিক শিক্ষাবিষয়ক নানা সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। এহছানুল হক মিলন বলেন, বিভিন্ন দেশে স্কুল-কলেজ বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের। এ দেশে করোনা এসেছে গত মার্চে। এর আগে পূর্বাভাস পেলেও করোনা মোকাবিলায় কোনো প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। কোনো রকম চিন্তা ছিল না যে শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীদের কী হবে, স্কুল-কলেজ কীভাবে চলবে সে ব্যাপারেও সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। প্রস্তুতি থাকলেও বাতিল করা হলো এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। দেওয়া হলো অটো পাস। অটো পাসের ঘটনা বিশ্বের অন্য কোনো দেশে ঘটেনি। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে স্বল্প সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অটো পাস দেওয়া হয়নি। আজকের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। তবু এখন অটো পাস! ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর কী হবে কেউ ভাবেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে উপাচার্যরা জানিয়ে দিয়েছেন, পরীক্ষা ছাড়া ভর্তি নেওয়া হবে না। যদি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে ভর্তির জন্য পরীক্ষা হতে পারে, তবে এইচএসসির পরীক্ষা নেওয়া হলো না কেন। অটো পাসের সিদ্ধান্তে যারা মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে চেয়েছিল, তাদের পথ বন্ধ হয়ে গেল। সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। শিক্ষকরা ছুটিতে আছেন। তাহলে তো সহজেই উপকেন্দ্র বাড়িয়ে এ পরীক্ষা নেওয়া যেত। কার স্বার্থে, কী কারণে এ পরীক্ষা নেওয়া হলো না? সব ক্লাসে লটারিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হলো। কিন্তু এসব চিন্তা একেবারেই কাল্পনিক। তিনি বলেন, ‘দেশে অনেক ভৌত অবকাঠামো দেখছি। কিন্তু দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন দেখছি না। শিক্ষার্থীদের অশিক্ষিত বানিয়ে, তাদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার না বানিয়ে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। মানুষ এখন চিকিৎসার জন্য অন্য দেশে যাচ্ছে। ধনাঢ্য পরিবারের শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী বা উন্নত দেশে চলে যাচ্ছে। এসব কারণে দেশের মুদ্রা বাইরে চলে যাচ্ছে। মিলন বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করলে দেশকে ধ্বংস করা যাবে, তাই সেই পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র নিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।
শিরোনাম
- একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাসুদের র্যালি
- ভালুকায় হেমন্তের কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত
- ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
- চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে যত কারণ
- খালেদা জিয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
- মাগুরায় ১৬ ক্লাবের অংশগ্রহণে জমজমাট ক্রিকেট আসর
- ফেনীতে পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৩
- কুড়িগ্রামে নতুন নারী জেলা প্রশাসক
- এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময়সীমা বাড়ানো হলো
- জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
- ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক আটক
- কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
- টাকার বস্তা নিয়ে হাসিনা তার আত্মীয়-স্বজনকে ভাগিয়ে দিয়েছে : এ্যানি
- ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
- পরমাণু সাবমেরিন তৈরির ব্যাপারে সম্মত দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র
- গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
- কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোনের বড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া