বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পৃথিবীর শেষ প্রান্তেও পৌঁছে গেছে করোনা

প্রতিদিন ডেস্ক

চীনের উহানে আবির্ভাবের এক বছরের মাথায় বরফে আচ্ছাদিত পৃথিবীর শেষ প্রান্তের মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। চিলির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা অ্যান্টার্কটিকা উপদ্বীপে অবস্থিত বার্নার্ডো ও’হিগিনস গবেষণা কেন্দ্রের ৩৬ জনের দেহে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েছে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি।

আক্রান্তদের মধ্যে ২৬ জনই সেনাবাহিনীর সদস্য, বাকি ১০ জন ওই গবেষণা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা কর্মী। তাদের সবাইকে গবেষণা কেন্দ্রটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, বার্নার্ডো ও’হিগিনস গবেষণা কেন্দ্রে রসদ ও কর্মী নিয়ে যাওয়া একটি জাহাজ ফেরত আসার পর জাহাজটির ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস মিলেছে বলে চিলির নৌবাহিনী নিশ্চিত করার কয়েক দিন পর অ্যান্টার্কটিকায় এ ৩৬ জনের কভিড-১৯ ধরা পড়ল। অ্যান্টার্কটিকায় রোগী শনাক্ত হওয়ার মাধ্যমে বিশ্বের ৭টি মহাদেশের সবকটিতেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হলো। চিলির নৌবাহিনী জানায়, রসদ নিয়ে যাওয়া তাদের জাহাজটি ২৭ নভেম্বর গবেষণা কেন্দ্রে পৌঁছয়; জাহাজটি ১০ ডিসেম্বর চিলির টেলকুহানো নৌ-ঘাঁটিতে ফিরে আসার পর তিন ক্রুর শনাক্তকরণ পরীক্ষার ফল ‘পজিটিভ’ আসে। অ্যান্টার্কটিকায় যাওয়ার আগে রওনা হওয়া সবার পিসিআর টেস্ট হয়েছিল এবং তাদের সবার ফল ‘নেগেটিভ’ এসেছিল বলেও দাবি চিলির নৌবাহিনীর। বার্নার্ডো ও’হিগিনস গবেষণা কেন্দ্রটি হচ্ছে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে থাকা চিলির চারটি স্থায়ী ঘাঁটির একটি; এটি সেনাবাহিনী পরিচালনা করে। লাতিন আমেরিকার ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে থাকা চিলিতে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৮৯ হাজারের বেশি কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

আবারও লকডাউনে ভুটান : মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবারও ভুটানে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল থেকে আগামী সাত দিন এই লকডাউন কার্যকর থাকবে। দেশটির সরকার মঙ্গলবার এই লকডাউনের ঘোষণা দেয়। ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, ‘থিম্পু, পারো, লামোইঝিংখায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। মঙ্গলবার সকালেই আন্তঃরাজ্য যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতীয় কভিড নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স আরও কড়া নিয়ম জারি করতে চাইছে। এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ভুটানে আবারও জোন সিস্টেম চালু হচ্ছে। প্রতিটা জেলা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। নাগরিকদের চলাচল ওই জোনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। আপাতত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। আগামী সাত দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করবে প্রশাসন। তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের পরিষেবা চালু থাকছে।’ লকডাউন সাত দিন পর্যন্ত চালু থাকবে নাকি আরও বাড়বে, এ ব্যাপারে দেশটির সরকারি বিবৃতি বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভুটানে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪৭৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৩০ জন। তবে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় একজনেরও মৃত্যু হয়নি।

সর্বশেষ খবর