দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সংক্রমণের গতি ধারাবাহিকভাবে কমছে। এক সপ্তাহে নতুন রোগী শনাক্তের হার প্রায় ১৩ শতাংশ কমেছে, মৃত্যুর হার কমেছে ২৬ শতাংশ। দৈনিক শনাক্তের হারও ৩ শতাংশের নিচেই রয়েছে। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর গতকাল যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তাতে এ তথ্য পাওয়া যায়। বুলেটিনে ২৪ থেকে ৩০ জানুয়ারি এবং ৩১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারির সংক্রমণ পরিস্থিতির তুলনা করে বলা হয়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন শনাক্ত রোগী কমেছে ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ, মৃত্যু কমেছে ২৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
এই সময়কালে নমুনা পরীক্ষাও ১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ কম হয়েছে বলে জানানো হয়। অন্যদিকে সুস্থতার হার বেড়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। গত সাত দিনে ৯৭ হাজার ১১১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার রোগী শনাক্ত হয়, মারা যান ৭৯ জন। তার আগের সপ্তাহে ৯৮ হাজার ১০৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৪৪৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। মারা গিয়েছিল ১০৮ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোর ৩ হাজার ২৩৩টি শয্যার মধ্যে ২ হাজার ৫৩টিই এখন খালি। ২৫৭টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি আছে ১৭৫টি। আর সারা দেশ মিলিয়ে হাসপাতালগুলোতে ১০ হাজারের কভিড-১৯ শয্যার মধ্যে প্রায় ৯ হাজারই খালি আছে, রোগী আছে দেড় হাজার শয্যায়। আর ৫৮২টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে কভিড-১৯ রোগী আছে ১৮৯টিতে, ৩৯৩টিই এখন খালি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ আর নারী ২ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৫ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪১৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ জন হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২০৬টি ল্যাবে ১২ হাজার ১৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষিত নমুনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৮টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।