সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামের পাহাড়ে চিত্রা হরিণ

মোস্তফা কাজল

চট্টগ্রামের পাহাড়ে চিত্রা হরিণ

চট্টগ্রামের সবুজ পাহাড়ে দেখা মিলছে চিত্রা হরিণের দল। আপন মনে দিনভর ঘুরে বেড়ানো এই বন্য প্রাণীর অবস্থান চট্টগ্রাম মহানগরীর উপকণ্ঠের সীতাকুন্ড ও মিরসরাইয়ের পাহাড়ে। পাশাপাশি সেখানে মেলা বসে হাজার হাজার পরিযায়ী ও দেশীয় পাখির। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা ঝিরিপথে পাথর ডুবিয়ে চলে ঠান্ডা পানি। সে পানির ধার ঘেঁষে এক পা ডুবিয়ে শিকারের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওতপেতে থাকে বকের ঝাঁক। আর দু-কূল ছাপানো বুনোগাছের আড়ালে কৌতূহলী চোখ মেলে চেয়ে থাকে বানরের দল। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডাকে দলছুট হরিণ। এসব হরিণ দূর থেকে দেখতে হয়। মানুষের উপস্থিতি টের পেলে গভীর জঙ্গলে ঢুকে যায়। এমনই প্রকৃতির অপার মায়া-ভালোবাসা আর আদর ঘিরে গড়ে ওঠা এই চিরসবুজের পাহাড় হঠাৎ করেই নানা কারণে স্বকীয়তায় ফিরছে। সীতাকুন্ড ও মিরসরাইর কয়েকটি উপকূলীয় অঞ্চলে রয়েছে অনেক হরিণ। সীতাকুন্ড উপজেলার সৈয়দপুর, মুরাদপুর, বাড়বকুন্ড ও বাঁশবাড়িয়ার নাগর উপকূলে মাঝে মধ্যে চিত্রা হরিণের দল পানি পানের জন্য নিচে চলে আসে। এ ছাড়া মিরসরাইয়ের মিঠাছড়া ও বড়তাকিয়া এলাকার কাছাকাছি পাহাড়ের ঢালে চিত্রা হরিণের দল খাবারের সন্ধানে যায়। বন কর্মকর্তা জসিমউদ্দিন বলেন, কঠোর মনিটরিং থাকায় এখানকার বনজঙ্গলে চিত্রা হরিণের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ হুমায়ুন কবির বলেন, এ অঞ্চলে চিত্রা হরিণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বনের সৌন্দর্য বেড়ে গেছে। হরিণ রক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হেলালউদ্দিন বলেন, চিত্রা হরিণের অবাধ চলাচল অব্যাহত রাখতে অচিরেই ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া পাহাড়ের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ও পাদদেশে হরিণের পিপাসা নিবারণে বড় বড় পুকুর খননের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রজনন হার বাড়াতে পাহাড়ে সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও পুরো এলাকায় বন বিভাগের নজরদারি বাড়ানো হবে।

সর্বশেষ খবর