বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

পাঁচ বছরে সাড়ে ২৬ হাজার ধর্ষণ মামলা থানায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশের থানাগুলোতে ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে ২৬ হাজার ৬৯৫টি ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ৪ হাজার ৩৩১টি, ২০১৭ সালে ৪ হাজার ৬৮৩টি, ২০১৮ সালে ৪ হাজার ৬৯৫টি, ২০১৯ সালে ৬ হাজার ৭৬৬টি ও ২০২০ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৬ হাজার ২২০টি মামলা দায়ের হয়েছে। হাই কোর্টের আদেশে পুলিশ সদর দফতরের দাখিল করা এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। এ ছাড়া সারা দেশে সংশ্লিষ্ট আদালত  বা ট্রাইব্যুনালেও মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে গত পাঁচ বছর কতগুলো মামলা আদালতে হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের দেওয়া প্রতিবেদনে সে তথ্য আসেনি। সুপ্রিম কোর্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনে নির্ধারিত ১৮০ দিনের মধ্যে টানা বিচারকাজে ধর্ষণের মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে কি না, তা নিরীক্ষণ (মনিটরিং) করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাই কোর্ট বেঞ্চে গতকাল প্রতিবেদন দুটি উপস্থাপন করা হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী প্রতিবেদন দুটি আদালতে উপস্থাপন করেন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান ও শাহিনুজ্জামান শাহিন।

পরে অনীক আর হক জানান, গত পাঁচ বছরে আদালতে কতগুলো মামলা হয়েছে সে প্রতিবেদন দিতে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ দুই মাস সময় চেয়েছিল। আদালত ২৩ মে পরবর্তী তারিখ রেখেছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসহ সংশ্লিষ্ট সব আদালতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তথ্য পেলেই আরেকটি প্রতিবেদন জমা দেবে রাষ্ট্রপক্ষ। ধর্ষণের ঘটনায় সালিশকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছর ২১ অক্টোবর রুলসহ আদেশ দেয় হাই কোর্ট। আদেশে ধর্ষণের ঘটনায় গত পাঁচ বছর সারা দেশে থানা, আদালত, ট্রাইব্যুনালে কত মামলা হয়েছে সে তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এ ছাড়া আইনে নির্ধারিত ১৮০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের মামলার নিষ্পত্তি ও টানা বিচারকাজ চালাতে উচ্চ আদালতের দেওয়া আগের রায়ের নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি না বা বাস্তবায়ন কতটুকু হচ্ছে, তার অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতেও বলে হাই কোর্ট। সে আদেশ অনুযায়ী পুলিশ সদর দফতর এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর