শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

রাজশাহী-কলকাতা রেল যোগাযোগ আপাতত না

বিরল সীমান্তের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী হয়ে ভারতের কলকাতা, সরাসরি রেল যোগাযোগের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। স্থানীয় মেয়র ও এমপি এ নিয়ে বারবারই কথা বলেছেন সংসদে। নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু সময় আর ব্যবসায়িক দিক বিবেচনা করে সেটি এখনই হচ্ছে না। এ ছাড়া মিয়ানমার প্রস্তুত না থাকায় ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়া সহজ হচ্ছে না বাংলাদেশের। তবে সব জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় নিতে প্রকল্প নিচ্ছে সরকার। রাজশাহীতে এসে এমন তথ্যই দিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রাজশাহী থেকে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগের সম্ভাব্যতা তারা যাচাই করে দেখছেন। সবাই তো ব্যবসায়িক চিন্তা করে। আমাদের বাংলাদেশের ওপর দিয়ে কতটুকু এলাকা চলবে, তার উপরে ট্যারিফ হবে, ভাড়া হবে। ভারতের জমির ওপর দিয়ে নেপাল যেতে বহু অংশ যাবে। এটি যদি দিনাজপুরের বিরল হয়ে করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ বেশি লাভবান হবে। ব্যবসাটা আমাদের চিন্তা করতে হয়।’ রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রাজশাহী হয়ে কলকাতা যেতে যে সময় লাগবে, তার চেয়ে কম সময়ে গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়া যায়। ফলে সময় ও ব্যবসায়িক দিক বিবেচনা করে আপাতত রাজশাহী-কলকাতা এই রুটের পরিবর্তে দিনাজপুরের বিরল সীমান্তের চিন্তা আছে মন্ত্রণালয়ের।

সূত্রটি জানায়, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের তিন প্রকল্পে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সীমান্ত যোগাযোগকে। পাশাপাশি দেশের তিনটি স্থলবন্দরকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসতে চলছে চারটি প্রকল্পের কাজ। এসব প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়েতে বাংলাদেশকে যুক্ত করা। তবে ভারতের সঙ্গে যশোর, দিনাজপুর হয়ে রেল যোগাযোগ গড়ে তোলার কাজ এগুলেও, মিয়ানমার এখনো প্রস্তুত নয়। ফলে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়া সহজ হচ্ছে না। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ বলেন, ব্যাংককে একটি সম্মেলনে এই প্রসঙ্গটি তোলা হয়েছিল। তখন মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা রেল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে আপাতত প্রস্তুত নয়। মিয়ানমারের প্রস্তুতি না থাকার কারণে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়া সম্ভব হচ্ছে না বাংলাদেশের।

রাজশাহী হয়ে ভারত পর্যন্ত রেল যোগাযোগ আপাতত না হলেও পণ্য পরিবহন বেড়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী। তিনি বলেন, আগের চেয়ে রেলপথে পণ্য আনা-নেওয়া বেড়েছে। আগে অল্প সংখ্যক ট্রেন পণ্য নিয়ে আসত। এখন প্রতিমাসে দেড় শ’রও বেশি ট্রেন পণ্য আনা-নেওয়া করছে। পণ্য নামানোর জন্য রেলওয়ের সক্ষমতার অভাব আছে। সেটি বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। সিরাজগঞ্জ, ঈশ্বরদীতে সেই জায়গা করা হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরেও একটি জায়গা করার পরিকল্পনা আছে। যাতে করে ব্যবসায়ীরা পণ্য আনা-নেওয়া করতে কোনো ভোগান্তির মধ্যে না পড়েন। মূলত সব জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় নেওয়ার পরিকল্পনায় কাজ করছে সরকার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর