রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা
অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২১

ব্যস্ততা ছাপা ও বাঁধাইখানায়

মোস্তফা মতিহার

ব্যস্ততা ছাপা ও বাঁধাইখানায়

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১ শুরুর আর মাত্র বাকি তিন দিন। তাই রাজধানীর ছাপাখানাগুলোয় চলছে চরম ব্যস্ততা। বাঁধাইখানায়ও পলক ফেলার ফুরসত নেই শ্রমিকদের। এই প্রেস থেকে ওই প্রেসে দৌড়াচ্ছেন প্রকাশকরা। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিস্তীর্ণ প্রান্তর ও বাংলা একাডেমিতে পুরোদমে চলছে স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণের কাজ। হাতুড়ি, বাটালের টুংটাং শব্দে মুখর চারদিক। এ যেন এক অন্যরকম আবহ-আমেজ। করোনা মহামারীর কারণে ভাষার মাসের বইমেলা শুরু হচ্ছে স্বাধীনতার মাস মার্চে। কভিডের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে অবশেষে মেলা হচ্ছে এতেই খুশি লেখক-পাঠক ও প্রকাশকরা। ১৮ মার্চ শুরু হচ্ছে এবারের গ্রন্থমেলা। সরেজমিন রাজধানীর ফকিরেরপুল, আরামবাগ, কাঁটাবন ও বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার ছাপাখানায় ব্যস্ততার চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। গত বছর মেলায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বইয়ের প্রকাশ এবং ৮২ কোটি টাকার বই বিক্রি হলেও এবার সে সংখ্যা একটু নিম্নগামী হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিগত বছরগুলোর মতো এবারের মেলা নিয়েও আশাবাদী প্রকাশকরা। ছাপাখানার ব্যস্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে ফকিরাপুলের ছাপচিত্র প্রিন্টিং প্রেসের আশিকুল বলেন, যতটা খারাপ হবে ভেবেছিলাম ততটা না। কাজ পাব কিনা এ নিয়ে সন্দিহান ছিলাম। তবে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কাজ পাচ্ছি। আশা করা যায় এবারের মেলাও জমে উঠবে। তবে অন্য বছরের সঙ্গে এ বছরের  হিসাবটা মেলানোর সময় এখনো আসেনি। একই এলাকার আসলাম প্রিন্টিং প্রেসের মালিক আসলাম বলেন, ফেব্রুয়ারির মেলা মার্চে শুরু হচ্ছে বলে আমরা নিরাশ ছিলাম। তবে, কাজের চাপ বাড়াতে সেই শঙ্কা কেটে যাচ্ছে। অন্য বছর আমাদের ব্যস্ততা একটু আগে শুরু হতো। এ বছর একটু পরে শুরু হচ্ছে- পার্থক্য এটুকুই। কাঁটাবনের কবির প্রেসের কর্মচারী সুমন বলেন, আমাদের কাজের চাপ বাড়ছে। এ চাপ পুরো মেলা চলাকালীন থাকবে বলেই আমার বিশ্বাস। কারণ মেলার শেষ দিনও অনেক প্রকাশক বই বের করেন। যে কারণে আমাদের ছাপাখানায় মেলার শেষ দিন পর্যন্ত কাজ চলে। করোনার কারণে গত এক বছর দেশের অবস্থা খুবই করুণ। এ পরিস্থিতিতে মেলা হচ্ছে এটিই বা কম কিসে? প্রতিদিনই আমাদের ব্যস্ততা বাড়ছে। ফকিরেরপুলের প্রেস মালিক রফিক বলেন, ছাপার কাজ ইতিমধ্যে শুরু করেছি। আশা করছি দিন যত যাবে ব্যস্ততাও তত বাড়বে। কাঁটাবনের বাঁধাইখানার মালিক কাইয়ুম বলেন, প্রেসের কাজ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাঁধাইয়ের কাজও শুরু হয়েছে। ছাপাখানায় কাজের চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাজের চাপও বেড়েছে। বর্তমানে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি। মেলার শেষ দিন পর্যন্ত এ ব্যস্ততা থাকবে বলে আশাবাদী। করোনার কারণে ব্যবসায় একটু প্রভাব তো পড়বেই। তবে যতটা আশঙ্কা করেছিলাম ততটা নয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর