রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ওপর বড় আঘাত আসবে

-মামুন রশীদ

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ওপর বড় আঘাত আসবে

অর্থনীতি বিশ্লেষক মামুন রশীদ বলেছেন, দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনে দিনমজুর বা খেটে খাওয়া মানুষই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মসংস্থানের ওপর বড় ধরনের একটা আঘাত আসবে। এখানে আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটা হলো চিকিৎসাসেবা সবার আগে। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের প্রায় ১৩ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। কিন্তু প্রথম কথা হচ্ছে চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে আমরা কি কিছু করতে পেরেছি? আমরা আমাদের সক্ষমতা কি বাড়াতে পেরেছি? এ ছাড়া স্টিমুলাস প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল। সেগুলোর কতটা কী হয়েছে। এসএমই খাতে বরাদ্দের বেশির ভাগই বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। মামুন রশীদ গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এখানে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বিষয় হলো চিকিৎসা। আমরা আমাদের অতীতের অর্থাৎ গত বছরের ঘটনা থেকে কতটা শিক্ষা নিলাম। আদৌ কি কোনো শিক্ষা নিতে পেরেছি? হাসপাতালে এখন বেড নেই। আইসিইউ নেই। ইমারজেন্সিতে কাক্সিক্ষত সেবা নেই। এটা একটা বড় ইস্যু। তাহলে আমরা গত এক বছরে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে কিছু কি করতে পেরেছি? দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, প্রণোদনা প্যাকেজের সফলতা ও ব্যর্থতা। এখানে হতদরিদ্র মানুষের জন্য যা ছিল তা কি বাস্তবায়ন হয়েছে? ফলে নতুন করে আবার লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ হতদরিদ্ররাই। খেটে খাওয়া মানুষের জন্য আমরা কি কিছু করতে পেরেছি? তাদের খাবারের নিশ্চয়তা দিতে হবে। এ ছাড়া দ্বিতীয় দফায় আমরা আবার নতুন করে কোনো প্যাকেজ দেব কি না তা নিয়েও ভাবতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বর্তমানে টেকসই প্রবৃদ্ধির দিকে যাচ্ছি। আমরা মধ্যম আয়ের দেশের দিকে যাচ্ছি। আমরা টেকসই উন্নয়নের দিকে যাচ্ছি। এ সময়ে এমন চিকিৎসাব্যবস্থা কিংবা বিভিন্ন ধরনের বণ্টনজনিত সমস্যা আমাদের রয়েছে। এখানে ন্যূনতম সুশাসনের ব্যবস্থা নেই। আমরা কিন্তু ভেবেছিলাম আমাদের এখান থেকে করোনা চলেই গেছে। সংক্রমণ কমেও গিয়েছিল। আমরা একটা সান্ত্বনার মধ্যে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আবার সেটা বেড়ে গেছে। ফলে আমরা এখন একটা অপ্রস্তুত অবস্থার মধ্যে চলে এসেছি। এ অপ্রস্তুত অবস্থাটা যাতে না হয় সেজন্য ন্যূনতম একটা সক্ষমতা যদি অর্জন করতে পারি তাহলে এটাকে বেশ ভালোভাবেই মোকাবিলা করতে পারব। এখানে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে যারা গরিব- একদম দিন আনে দিন খায় তাদের একটা সাপোর্ট দিতে হবে। আরেকটা ব্যাপার হলো, গার্মেন্টস খাতে স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে নিশ্চিত হবে সে ব্যাপারেও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এখানে মালিকরা কতটুকু করবেন তাও দেখতে হবে। মালিকদের উদ্দেশ্য এবং সরকারের উদ্দেশ্য অনেক সময় এক না-ও হতে পারে। এটা তো আমরা অতীতেও দেখেছি। এ বিষয়গুলোর যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

সর্বশেষ খবর