বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। গতকাল ভোররাত ৪টার দিকে ওই ইউনিয়নের সুলতানী গ্রামে এই হামলার ঘটনায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। হামলা ও সংঘর্ষের সময় ১০-১২টি বসতঘর এবং দোকানপাট কুপিয়ে-পিটিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এ ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ। দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন মুঠোফোনে জানান, ভোর রাত ৪টার দিকে কয়েক শ লোক লাঠিসোঁটা এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই গ্রামে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ওই এলাকার বেশ কিছু দোকান ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। ওই এলাকার বাসিন্দারা প্রতিরোধ করতে গেলে বেধে যায় তুমুল সংঘর্ষ। সংঘর্ষে পার্শ্ববর্তী আশা গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম সর্দার (৩০) নিহত হন। আহত হন অন্তত ১২ জন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় সাইদ চৌধুরীকে (৩৫) বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হলে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও জানান, সম্প্রতি স্থগিত হওয়া দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন চৌধুরীর লোক বলে দাবি করেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। নিহতদের মধ্যে সাইফুল সর্দার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রুমা বেগমের এবং সাইদ চৌধুরী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিলন চৌধুরীর সমর্থক বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগেও ওই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিকবার হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।