শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

ভার্চুয়ালি বর্ষবরণ ও প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা

সাংস্কৃতিক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ভার্চুয়ালি বর্ষবরণ ও প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা

এবার আয়োজন করা হয়েছে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রার -বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভার্চুয়ালি বাংলা নববর্ষ বরণ করেছে ছায়ানট। পয়লা বৈশাখের সকাল ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয় বর্ষবরণের এই আয়োজন। অন্যদিকে বর্ষবরণ উপলক্ষে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছায়ানটের অনুষ্ঠানটি সাজানো হয় রমনার বটমূলের পুরনো আয়োজন ও নতুন রেকর্ড করা পরিবেশনার সমন্বয়ে। গান, আবৃত্তিতে মানুষের মঙ্গল কামনা ছাড়াও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ছিল দেশাত্মবোধক গানের পরিবেশনা। এ নিয়ে রমনা বটমূলের আয়োজন টানা দ্বিতীয়বার বাতিল করা হলো। গতবারও ডিজিটাল মাধ্যমে বর্ষবরণের আয়োজন করা হয়।

ইউসুফ আলী খানের সরোদ বাদনে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পূর্বগগনভাগে দীপ্ত হইল সুপ্রভাত’ সম্মিলিত কণ্ঠে পরিবেশিত হয়। আবদুল ওয়াদুদ ও সেঁজুতি বড়ুয়া একক কণ্ঠে পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথের ‘অন্ধকারের উৎস হতে’ ও ‘আমি ভয় করব না’। ছোটদের দল সম্মিলত কণ্ঠে পরিবেশন করে কাজী নজরুল ইসলামের ‘এলো এলো রে বৈশাখী ঝড়’। পরে একক কণ্ঠে খায়রুল আনাম শাকিল গেয়ে শোনান কাজী নজরুল ইসলামের ‘গগন প্রলয় মেঘের ভেলা’ এবং ফারহানা আক্তার শার্লি গেয়ে শোনান মো. মনিরুজ্জামানের ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে’। ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় আবৃত্তি করেন রবীন্দ্রনাথের ‘সুপ্রভাত’ কবিতাটি। নাসিমা শাহীন ফ্যান্সি গেয়ে শোনান জয়দেব সেনের ‘এই বাংলার মাটিতে মাগো’, রেজাউল করিম গেয়ে শোনান কাজী নজরুল ইসলামের ‘স্বদেশ আমার জানি না তোমার’। সম্মিলিত কণ্ঠে গাওয়া হয় লালনের গান, ‘সব লোকে কয় লালন কি জাত’, আবুল কালাম আজাদ গেয়ে শোনান শাহ আবদুল করিমের ‘জীবন আমার ধন্য যে হয়’। ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুনের বক্তব্য এবং জাতীয় সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। এ সময় সন্জীদা খাতুন বলেন, অন্ধকারের উৎস থেকে আলো উৎসারিত হবেই। নতুন বছর বয়ে আনবে সর্বজনের জন্য মঙ্গলবার্তা। আলো আসবেই। তিনি বলেন, অর্ধশত বর্ষ পরে ধ্বংসস্তূপ থেকে জেগে ওঠা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে ঈর্ষণীয় সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি আমাদের আশাবাদী করে তোলে। ঢাবিতে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা : করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলা নববর্ষ-১৪২৮ উপলক্ষে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার সকালে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখোশ ও প্রতীক নিয়ে অনুষদ প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতীকী এই শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ ছাড়াও এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়াসহ চারুকলা অনুষদের স্বল্পসংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সর্বশেষ খবর