রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

করোনায় ৯০ শতাংশ দেশে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত : ডব্লিউএইচও

প্রতিদিন ডেস্ক

করোনাভাইরাস মহামারীর এক বছরেরও বেশি সময় পার হয়েছে। ৯০ শতাংশ দেশে এখনো প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিউএইচও) দ্বিতীয় জরিপে দেখা গেছে, গত বছরের গ্রীষ্মকালে পরিচালিত প্রথম জরিপের তুলনায় পরিস্থিতি খুব বেশি বদলায়নি। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন তথ্যই দেওয়া হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, কয়েক লাখ মানুষ এখনো স্বাস্থ্যসেবাবঞ্চিত। প্রায় অর্ধেক দেশে করোনার কারণে সাধারণ স্বাস্থ্যসেবাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিভিন্ন অসুখের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসাও ব্যাহত হচ্ছে। ২০ শতাংশ দেশ বলেছে, জীবন রক্ষাকারী জরুরি সেবা, জটিল ও সার্জিক্যাল কেয়ারের সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ৪৩ শতাংশ দেশে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ার পেছনে বড় কারণ হলো অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ। স্নায়বিক রোগসহ মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সবচেয়ে বেশি ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া টিবি, এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি ও সি, ক্যান্সার স্ক্রিনিং, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, পরিবার পরিকল্পনা, জন্মবিরতিকরণ, জরুরি দন্তচিকিৎসা ও অপুষ্টির মতো রোগের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এক-তৃতীয়াংশ দেশে টিকাদান কর্মসূচিও ব্যাহত হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, ৪০ শতাংশ দেশে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। তবে ২০২০ সালের তুলনায় এসব দেশের সংখ্যা ১০ শতাংশ কম।

স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ার এ পরিস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ এবং জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৫টি দেশের মধ্যে ‘বুস্ট ইনিশিয়েটিভ’কে জোরদার করার কথা বলেছে। এসব দেশকে অতিরিক্ত সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যাতে এসব দেশ মহামারী চলাকালে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস গেব্রিয়াসুস বলেন, এটা উৎসাহব্যঞ্জক যে বিভিন্ন দেশ জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ইস্যুতে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। তবে এ ইস্যুতে আরও অনেক কিছু করার রয়েছে। করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে আমরা হাম, পোলিও ও অন্যান্য প্রতিরোধযোগ্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াইকে অবহেলা করতে পারি না। টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ায় শিশুস্বাস্থ্যের ওপরও দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

সর্বশেষ খবর