বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রান্তিক জনগণকে প্রযুক্তির সেবা দিতে কর কমান

মাহতাব উদ্দিন আহমেদ

প্রান্তিক জনগণকে প্রযুক্তির সেবা দিতে কর কমান

আসছে ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মোবাইল টেলিকম প্রযুক্তির সেবা প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে করহার কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন অ্যামটব সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। মোবাইল অপারেটরদের এই নেতা বলেন, ভবিষ্যৎ অর্থনীতির বড় অংশই ডিজিটাল অর্থনীতিকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হবে। বিপুল জনগোষ্ঠীকে এ সুবিধার বাইরে রেখে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা কঠিন হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল সেবার আওতায় আনতে হলে মোবাইল সেবার ওপর কর কমাতে হবে। এই জনগোষ্ঠীকে মোবাইল সেবার আওতায় আনতে হলে সিম কর সম্পূর্ণরূপে তুলে দেওয়াই এখন হতে পারে সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত পদক্ষেপ। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। তিনি সংগঠনটির বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরে বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক এখনো ইন্টারনেট বা ডিজিটাল সেবার সুবিধার আওতায় নেই। এই জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই আবার প্রান্তিক পর্যায়ের। এই জনগোষ্ঠীর ডিজিটাল সেবা প্রাপ্তিতে মূল প্রতিবন্ধকতা হলো ক্রয়ক্ষমতা অথবা সক্ষমতার অভাব। মোবাইল ইন্টারনেটের ওপর যে ধরনের করব্যবস্থা এখন বিদ্যমান, তা এসব মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতাকে আরও কমিয়ে দিচ্ছে। মানসম্মত হ্যান্ডসেটের অভাবও এখানে একটি বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। অ্যামটব সভাপতি বলেন, ন্যূনতম আয়করের কারণে মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের নেটওয়ার্ক অবকাঠামো এবং সেবা স¤প্রসারণে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। এ জন্য টেলিযোগাযোগ খাতের ওপর থেকে ন্যূনতম কর প্রত্যাহারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। তার মতে, সর্বনিম্ন করারোপ আয়কর আইনের মূলনীতিবিরোধী। কারণ আয়কর আয়ের ওপর প্রদান করা হয়, বিক্রয় বা প্রাপ্তির ওপর নয়। ব্যবসায় লোকসান হওয়ার পরও সর্বনিম্ন কর প্রদানের অর্থ হলো, মূলধন থেকে কর পরিশোধ করা, যা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করে। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নতির সঙ্গে সম্পর্কিত শিল্পের জন্য সর্বনিম্ন করহার ২ শতাংশ মোটেও যৌক্তিক নয়। টেলিকম শিল্পের টিকে থাকার জন্য সর্বনিম্ন করহার প্রত্যাহারের কোনো বিকল্প নেই। মাহতাব উদ্দিন আহমেদ টেলিকম সেবাকে উৎসে কর কর্তনের আওতামুক্ত করার দাবি জানিয়ে বলেন, বর্তমানে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা উৎসে কর কর্তনের আওতামুক্ত। অথচ টেলিকম সেবায় উৎসে কর কর্তন করা হচ্ছে। যদিও মোবাইল টেলিফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল করপোরেট কর প্রদান করে। যদিও অনেক প্রতিষ্ঠান সরকারকে সময়মতো কর্তনকৃত উৎসে কর জমা দিচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর