বুধবার, ৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

সভাসমাবেশ গায়ে গা লাগিয়ে চলা যাবে না

-ডা. মুশতাক হোসেন

সভাসমাবেশ গায়ে গা লাগিয়ে চলা যাবে না

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, যেখানে সংক্রমণ বেশি সেখানে কঠোর বিধিনিষেধ থাকতে হবে। আবার যেখানে কম সেখানে তো একেবারেই ছেড়ে দেওয়া যাবে না। যেখানে সংক্রমণের হার কম সেই জায়গাও প্রতিরক্ষা করতে হবে। যেখানে বেশি আছে সেখানে কমাতে হবে। দেশের কোনো এলাকাই এখন পুরোপুরি নিরাপদ নয়। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনালাপে এ কথা বলেন জনস্বাস্থ্যবিধ ডা. মুশতাক হোসেন। আলাপচারিতায় তিনি বলেন, মানুষ যদি মাস্ক না ব্যবহার করে, সভা সমাবেশ করে, গায়ে গায়ে লাগিয়ে চলাচল করে তাহলে সেখানে করোনার সংক্রমণ বাড়বেই। কাজেই সারাদেশেই এখন কমবেশি বিধি নিষেধ থাকতে হবে। যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শপিংমলসহ সব বিপণিবিতানগুলোতেও মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। পর্যটনকেন্দ্র গুলোও এখন খোলার সময় আসেনি। তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় এখন গ্রামে গ্রামে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। এক সময় বলা হতো গ্রামে করোনা হয় না। গরীব মানুষকে করোনা ধরে না। কিন্তু এখন সেটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের গ্রামে গ্রামেও এখন করোনা হচ্ছে। ভারতে কুম্ভ মেলায় যেসব শ্রমিক কৃষক বা গরিব লোকজন গিয়েছেন তাদের অনেকেই মারা গেছেন করোনায়। কুম্ভ মেলার পাশাপাশি নির্বাচনে সংক্রমিত হয়েছে। দিল্লীতে মাসের পর মাস কৃষকদের আন্দোলন কর্মসূচি ছিল, সেখানেও অনেকেই সংক্রমিত হয়েছেন। এক জায়গায় বেশি মানুষ জড়ো হলে সংক্রমিত সবাই হবে।  সেখানে ভাইরাসের শক্তি বেড়ে যায়। যারা মেহনত করেন পরিশ্রমী কিন্তু সেখানে বেশি লোক জড়ো হলে করোনা কিন্তু ছড়াবেই। ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, এসব বিবেচনা করেই দেশের সর্বত্রই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তবে যাতায়াত, অফিস আদালত বন্ধ করে রাখা উচিত না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এভাবে দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ রাখা উচিত হবে না। ঝুঁকিটা যত কমানো যায়, সেই চেষ্টায় করতে হবে। ঝুঁকি যেখানে বেশি বিধি নিষেধ সেখাতে তত কঠোর হতে হবে। যেখানে করোনা কম সেখানেও ন্যূনতম বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে। কম থাকলে সেখানে বিধি নিষেধ মেনে চললে ঝুঁকি কমে যাবে। কিন্তু যদি না মানি তাহলে যেকোনো সময় ঝুঁকি বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। ধাপে ধাপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মৌখিক পরীক্ষা বা অন্য পরীক্ষা নেওয়া দরকার। এগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা যেতে পারে। তবে প্রাইমারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবার পরে খুলতে হবে।

সর্বশেষ খবর