বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানির রেকর্ড

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানির রেকর্ড

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মে মাসে পণ্যের রেকর্ড পরিমাণ আমদানি হয়েছে, রেড়েছে রপ্তানির পরিমাণও। গত মে মাসে আমদানির পরিমাণ চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুধু তা নয়, ২০১৯ ও ২০২০ সালের মে মাসের তুলনায়ও চলতি বছরের মে মাসের আমদানির পরিমাণ ছিল বেশি। এই এক মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১ লাখ ২২ টিইইউস (একক) কনটেইনার পণ্য এসেছে। মে মাসে রপ্তানি হয়েছে ৫৬ হাজার টিইইউস কনটেইনার পণ্য। রপ্তানির এই পরিমাণ চলতি বছরের এপ্রিল মাসের চেয়ে বেশি হলেও জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের তুলনায় কিছুটা কম।

বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত রমজানকে টার্গেট করে ব্যবসায়ীরা আমদানি পণ্যেও এলসি করেছেন বেশি। আবার মে মাসে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটকে কেন্দ্র করে কিছু কিছু পণ্যের আমদানি বেড়েছে। আমদানি বৃদ্ধির এই ধারা আরও কয়েক মাস অব্যাহত থাকবে বলে মত দিয়েছেন বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১ লাখ ২১ হাজার টিইইউস কনটেইনার আমদানি পণ্য এসেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে এসেছে ১ লাখ ১৮ হাজার, মার্চ মাসে এসেছে ১ লাখ ১৭ হাজার এবং এপ্রিল মাসে এসেছে ১ লাখ ১৮ হাজার টিইইউস কনটেইনার। বিপরীতে মে মাসে এসেছে ১ লাখ ২২ হাজার টিইইউস কনটেইনার। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আমাদের দিন চাহিদা ও প্রবৃদ্ধি দুটোই বাড়ছে। ফলে আমদানির পরিমাণও স্বাভাবিক নিয়মে বেড়ে যাচ্ছে। তবে মে মাসের আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে বাজেট ঘোষণার বিষয়টি কাজ করেছে। কারণ, বাজেটের আগে এবং পরে কিছু কিছু আমদানি পণ্যের ভ্যাট/ ট্যাক্স বেড়ে যায়। ফলে সেটি মাথায় রেখে বড় ব্যবসায়ীরা আমদানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। এর কারণে বন্দরে আমদানি বেড়েছে। বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, আমদানির পরিমাণ যেমন বেড়েছে, রপ্তানির পরিমাণও বাড়ছে এবং তা আরও বাড়বে। তার কারণ হচ্ছে- গার্মেন্ট সেক্টরে রপ্তানি আদেশ বাড়ছে। আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধির অন্যতম সূচক হচ্ছে তৈরি পোশাক রপ্তানি। তাই যেহেতু পোশাকশিল্পে অর্ডার বাড়ছে, তাই রপ্তানিও বাড়বে। এ ছাড়া আমাদের দেশীয় পণ্যের রপ্তানির পরিমাণও দিন দিন বাড়ছে।

সর্বশেষ খবর