বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
মতিঝিলের কিশোর গ্যাং

চান-জাদু ও ব্যান্ডেজ গ্রুপের ৩২ সদস্য এখন আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

চান-জাদু আর ব্যান্ডেজ গ্রুপ। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই দুটি কিশোর গ্যাং রাজধানীর গোটা মতিঝিল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। গ্রুপের অন্তত ৩২ সদস্যের প্রত্যেকেই এক একজন মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। এরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দলবেঁধে চলাফেরা করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আধিপত্য বিস্তারে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। এসব সংঘর্ষে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া নিত্যদিনকার ঘটনা। মতিঝিল ও মুগদা এলাকার সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুগদা থানা পুলিশ এ দুটি গ্রুপের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলো- জাদু, রবিন, নয়ন ইসলাম শুভ এবং ব্যান্ডেজ গ্রুপের হিরো ও রিপন। গতকাল সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারের খবর জানিয়েছেন মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ।

ডিসি আ. আহাদ বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ করে আসামিদের তালিকা তৈরির পর মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই দুই গ্রুপের ৩২ কিশোর সদস্য রয়েছে। বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। এই দুই কিশোর গ্যাং সদস্যরা স্মার্টফোন ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ করত। রাস্তায় চলাচলরত নারীদেরকে উত্ত্যক্ত এবং ছিনতাই, মাদক সেবন, ইভটিজিং, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়াও তারা প্রায়ই এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার জন্য দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানেও তারা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে। এরপর আশপাশে কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইলফোন ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেত। এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি আ. আহাদ বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের ইন্ধনদাতা হিসেবে যদি প্রভাবশালী কেউ, এমনকি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের কেউ জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা আমরা এরই মধ্যে কমিয়ে এনেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর