রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার একটি বাসায় তানিয়া আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গত সোমবার রাতে চেয়ারম্যান গলির ৪৫৯ নম্বর বাসা থেকে ওই গৃহবধূকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক  তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত তানিয়ার শাশুড়ি ইয়াছমিন আক্তার বলেন, এক বছর আগে তৌহিদ প্রেম করে বিয়ে করে তানিয়াকে। কোনো কাজ করতো না তৌহিদ। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সোমবার সকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তৌহিদ তানিয়াকে মারধর করে। এরপর থেকে তানিয়া আমার কক্ষেই ছিল। বিকালে তৌহিদ বাসার বাইরে যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তানিয়া নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তৌহিদকে খবর দিই। পরে দরজা ভেঙে দেখি তানিয়া ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলে আছে।

মৃত তানিয়ার বোন রাজিয়া সুলতানা বলেন, ওই বাসার কয়েক বাসার পরই আমাদের বাসা। খবর পেয়ে তানিয়াদের বাসায় যেতেই দেখি তৌহিদ পালিয়ে যাচ্ছেন। আমার বোন ফাঁসি দিয়েছে নাকি তাকে মেরে ফেলেছে এখন কিছুই বলতে পারব না। তানিয়ার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার নরন্দিতে। তার বাবার নাম শহিদুল ইসলাম।

হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন ফারুক জানান, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।