বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

চুয়াডাঙ্গায় মাল্টা চাষে ব্যাপক সাড়া

জামান আখতার, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় মাল্টা চাষে ব্যাপক সাড়া

প্রতি বছরই চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে মাল্টার আবাদ। ইতিমধ্যেই মাল্টাচাষে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে চুয়াডাঙ্গার চাষিরা। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষিত তরুণ যুবক। তাদেরই একজন জীবননগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মো. সজল। খরচ  কম ও লাভ বেশি হওয়ায় মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন প্রগতিশীল চাষিরা। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় দেশজুড়ে চুয়াডাঙ্গার মাল্টার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা মানিকপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় গাছের ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে মাল্টা। এলাকার শিক্ষিত তরুণ মো. সজল নিজ হাতে পরম মমতায় গড়ে তুলেছেন এ বাগান। সজলের মতো জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলাতেই মাল্টা চাষ রয়েছে। বর্তমানে জেলায় অন্তত ৭১ হেক্টর জমিতে মাল্টার আবাদ হচ্ছে। মাল্টা চাষি মো. সজল জানান, কয়েক বছর আগে তিনি ৩২ বিঘা জমিতে মাল্টার চারা রোপণ করেন। এতে তার বিঘাপ্রতি খরচ হয় ২৫-৩০ হাজার টাকা। দুই বছর পর থেকে গাছে পরিপূর্ণ মাল্টা আসা শুরু হয়। তার মতে, এক বিঘা জমিতে ২০০-২৫০ চারা লাগানো যায়। দুই বছর পর প্রতিটি গাছ থেকে অন্তত ১ মণ মাল্টা পাওয়া যায়। সে হিসাবে এক বিঘা জমি থেকে বছরে খরচ বাদে ৩ লাখ টাকা লাভ হয়। চুয়াডাঙ্গার দিগড়ি গ্রামের শৌখিন মাল্টা চাষি আবু বক্কর সিদ্দিক বাবু জানান, তার বিভিন্ন ফসলের চাষ রয়েছে। তিনি বিভিন্ন ভিডিও দেখে দুই বছর আগে মাল্টা চাষে আগ্রহী হন। বর্তমানে তার আট বিঘা জমিতে মাল্টার আবাদ রয়েছে। তিনিও সফলতার স্বপ্ন দেখছেন।

কৃষি বিভাগের মতে, প্রতি বছরই চুয়াডাঙ্গা জেলাতে মাল্টার চাষ বাড়ছে। একই সঙ্গে চাহিদা বাড়ছে চুয়াডাঙ্গায় উৎপাদিত মাল্টার। ভরা মৌসুমে চুয়াডাঙ্গার মাল্টা ঢাকা হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। এতে ধীরে ধীরে কমে আসছে মাল্টার আমদানি নির্ভরতা। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান জানান, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মাল্টার মতো সাইট্রাস জাতীয় ফলের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে মাল্টা ও কমলা চাহিদার পুরোটাই আমদানি করতে হতো। এখন আমাদের দেশের চাষিরা এসব উৎপাদন করছে। ফলে আমদানি নির্ভরতা কিছুটা হলেও কমে আসছে। স্বাস্থ্য সম্মত এ ফলটি ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। এতে এক সময় আমদানির পরিবর্তে মাল্টা রপ্তানি করার পরিকল্পনা করছে কৃষি বিভাগ।

সর্বশেষ খবর