শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বন্দুক হাতে উপজেলা চেয়ারম্যানের ভিডিও ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বন্দুক হাতে উপজেলা চেয়ারম্যানের ভিডিও ভাইরাল

লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুলের হাতে অস্ত্র থাকার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও এক পক্ষকে ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা গেছে।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা সদরের বোয়ালিয়াকুল এলাকায় জায়গা দখল করতে গিয়ে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এ মহড়া দিয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ভুক্তভোগী পরিবার লোহাগাড়া থানায় মামলা করতে যায় বলে জানা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা ২টার দিকে চেয়ারম্যান বাবুলের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল উপজেলা সদরের আমিরাবাদ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বোয়ালিয়াকুল গিয়ে সৌদি আরবপ্রবাসী সিরাজুল ইসলামের জায়গা দখলের চেষ্টা করে। তাদের কারও হাতে ধারালো অস্ত্র, কারও হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানের হাতে একটি বন্দুক দেখা গেছে। পরে তিনি বন্দুকটি তার পক্ষের একজনের হাতে তুলে দেন। এ সময় কয়েকটি ফাঁকা গুলির শব্দও শোনা যায়। পরে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। সিরাজুল ইসলাম এক বছর আগে দেশে আসেন। করোনার কারণে দেশেই অবস্থান করছেন। সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার জায়গার পেছনে উপজেলা চেয়ারম্যানের কিছু জায়গা রয়েছে; সেখানে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। রাস্তা তৈরির জন্য তিনি আমার কাছে জায়গা কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি রাজি হইনি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন। বুধবার দুপুরে চেয়ারম্যান নিজেই সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা চালান।’ লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি এস আলম গ্রুপের কাছে ১ কানি (৪০ শতক) জমি বিক্রি করেছেন। ওই জায়গা ভরাটসহ গেট ও সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা ছিল। সেখানে গেট নির্মাণ করতে গেলে সিরাজের লোকজন নির্মাণশ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। ওই জায়গা সিরাজের নয়। তার জায়গা পাশের খালে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তার গাড়িতে লাইসেন্স করা বন্দুকটি থাকে। তারা শ্রমিকদের ওপর হামলা চালালে তিনি তার এক কর্মীকে বন্দুকটি বের করতে বলেছেন। বন্দুকটি বের করা হলেও কোনো ফায়ার করা হয়নি। লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে জায়গাজমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জেরে উপজেলা চেয়ারম্যানের বন্দুক হাতে একটি ভিডিও বুধবার রাতে ফেসবুকে ভাইরাল হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান ওই বন্দুক লাইসেন্স করা বলে জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত তিনি কোনো কাগজপত্র থানায় জমা দেননি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর