মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বাঁশ ও ড্রাম দিয়ে নিজেরাই বানালেন সাঁকো

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

বাঁশ ও ড্রাম দিয়ে নিজেরাই বানালেন সাঁকো

অবশেষে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ধরলা নদীর ওপর বাঁশ ও ড্রাম দিয়ে ব্যতিক্রমী সাঁকো তৈরি করেছেন। ধরলা নদীর অববাহিকায় ধরলার চর নামা জয়কুমর ও সারডোবের দুই হাজার মানুষের ভোগান্তি দূর করতে এই উদ্যোগ নেন তারা। কয়েকজন প্রবাসীর আর্থিক সহায়তায় গ্রামবাসী নিজেরা বাঁশ-ড্রাম ও শ্রম দিয়ে মাত্র পাঁচদিনেই ৫০ ফুট দীর্ঘ সাঁকোটি তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। গতকাল দুপুরে সাঁকোটি চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক আবদুল খালেক ফারুক।

জানা গেছে, ধরলা নদী তীরবর্তী নামা জয়কুমার ও সারডোব গ্রামের চার শতাধিক পরিবারে লোকজনের একতা বাজার হয়ে মূল ভূখে  আসতে একটি খাল পার হতে হয়। বর্ষা মৌসুমে যখন বৃষ্টিপাত হয় তখন এ খালে পানি ওঠে। আস্তে আস্তে নদীর পানি বাড়লে এই খাল দিয়ে প্রবাহিত হয় বন্যার পানি। ফলে বছরে অন্তত ৬ মাস খালের ওপর চলাচলকারী জনগণ পড়েন ভোগান্তিতে। ছোট খাল বলে নৌকা বা খেয়ার ব্যবস্থাও নেই। তাই গ্রামবাসী কয়েকটি বাঁশ সংগ্রহ করে সাঁকো তৈরি করে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রেখেছিলেন। কিন্তু এই সাঁকো দিয়ে নারী ও শিশুরা পার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন। জরুরি রোগী পরিবহন ও পণ্য পারাপারে এতদিন এ খাল দিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থা নিরসনে নামা জয়কুমর গ্রামের মানুষ অনেক দিন ধরে একটি কংক্রিট বা কাঠের ব্রিজের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এতে কোনো সাড়া দেয়নি। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রবাসীদের আর্থিক সহায়তায় ড্রাম ও বাঁশ দিয়ে নিজেরাই তৈরি করেন ভাসমান সাঁকো। পানি কমা-বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেতুটিও ওপর-নিচে উঠবে।

নামা জয়কুমর গ্রামের ইনসাফুল মিয়া জানান, এ সেতুটি হওয়ায় লোকজন পারাপার ছাড়াও চরে উৎপাদিত ধান, ভুট্টা, পাট, আলুসহ নানা প্রকার সবজি ও অন্যান্য ফসল পার করতে এখন আর কোনো সমস্যা হবে না। এতে আমরা সবাই খুশি।

সর্বশেষ খবর