বিভিন্ন জাতের সৌদি খেজুরের চাষ ছড়িয়ে দিতে নার্সারি গড়ে তুলেছেন দিনাজপুরের রবিউল ইসলাম রাজু। এ নার্সারিতে সৌদি আরবের বিখ্যাত আজুয়া, মরিয়ম, আম্বার, সুক্কারি ও রয়েল মাদানি জাতের খেজুরবীজ থেকে উন্নতমানের চারা উৎপাদন শুরু করেছেন রাজু। গত মাসে এসব চারা বিক্রিও শুরু করেছেন। এসব চারা বড় হয়ে পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে ফলন দেবে এবং ১০০ বছরের বেশি ফলন দেবে বলে আশা করা যায়। এ অঞ্চলে এসব খেজুর চাষ করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে বলে কৃষিবিদরা আশা করছেন। সৌদি আরব থেকে বিখ্যাত জাতের খেজুরবীজ এনে নার্সারিতে চারা উৎপাদন করেছেন খানসামার গোবিন্দপুর কলেজপাড়ার উপজেলা গেট এলাকার কৃষক হাজী মো. রবিউল হাসান রাজু। তিনি সংসারের আর্থিক উন্নতি ঘটাতে ২০০৪ সালে সৌদি আরব যান। সেখানে দীর্ঘ ১৫ বছর থাকাকালে হাতে কলমে খেজুর চাষের কলাকৌশল রপ্ত করেন এবং ২০২০ সালের শেষ দিকে ফিরে আসেন। পরে বাড়িসংলগ্ন জমিতে আত্রাই নার্সারি নামে একটি চারা উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলেন। গত মাসে এসব চারা বিক্রি শুরু করেছেন। তার নিজের জমিতেও ৮০টি খেজুরের চারা রোপণ করেছেন। দিনাজপুর জেলা হর্টিকালচারের উপপরিচালক এজামুল হক জানান, পর্যাপ্ত রোদ, কম আর্দ্রতা, শুকনো, উষ্ণ আবহাওয়া ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত উঁচু জমি খেজুর চাষের উপযোগী।
সরকারিভাবে আরব দেশ থেকে বিভিন্ন জাতের উন্নত খেজুর চারা আমদানি করে জেলার হর্টিকালচার সেন্টারে পরীক্ষামূলক লাগানো হয়েছে। মাটির গুণগতমান ও আবহওয়ার দিক থেকে দিনাজপুর অঞ্চল খেজুর চাষের উপযোগী।
