শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

মন্দা কেটে গেছে বিনিয়োগ হচ্ছে না

-এ কে আজাদ

মন্দা কেটে গেছে বিনিয়োগ হচ্ছে না

মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা কেটে গেছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি বলেছেন, করোনার মন্দা কাটলেও নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে না। তবে চীন থেকে অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে অনেক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রপ্তানি খাত এখন ক্রয়াদেশে ভরপুর। প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে। এটা আমাদের জন্য খুবই আশার দিক। আরও আশা করছি ২০২২ ও ২০২৩ সালে নতুন নতুন বিনিয়োগ হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। হা-মীম গ্রুপের এই কর্ণধার আরও বলেন, করোনায় বিশ্বজুড়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে অর্থনীতি। মহামারীর ক্ষতি কাটিয়ে অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে প্রয়োজন প্রচুর বিনিয়োগ। তাই সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলো ব্যবসা সহজীকরণ, করপোরেট করে ছাড়সহ নানা প্রণোদনা দিচ্ছে। কিন্তু এফডিআই প্রবাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জন হচ্ছে না। বিনিয়োগে পদে পদে জটিলতা ছাড়াও উচ্চহারের করপোরেট করের কারণে ব্যয় বেড়েছে। এতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা উৎসাহ হারাচ্ছেন। এ কে আজাদ বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বেশির ভাগ উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করপোরেট করহার বেশি। বাংলাদেশে করপোরেট করহার ভিয়েতনামের চেয়ে ১৫, মালয়েশিয়ার চেয়ে ১১, চীন, ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারের চেয়ে ১০, পাকিস্তানের চেয়ে ৬ এবং ভারত ও ফিলিপাইনের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি।

এফবিসিসিআইর সাবেক এই সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক করতে দেওয়া হয়েছিল এবং তা সফল হয়েছে। বড় ব্যবসায়ীদের খুব একটা সমস্যা নেই। তারা কমবেশি ভালো আছেন। তবে ছোট ব্যবসায়ীদের পাশে ব্যাংকগুলোকে মমতা নিয়ে দাঁড়াতে হবে।

সর্বশেষ খবর