মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

গানে-সুরে মাতল ওরা

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

গানে-সুরে মাতল ওরা

স্বাভাবিক শিশুদের তুলনায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে পিছিয়ে থাকে- সমাজের এমন ধারণা মিথ্যা প্রমাণ করেছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা। নাচে ও গানে দর্শক-শ্রোতাদের বিনোদিত করার মধ্য দিয়ে তারা প্রমাণ করেছে সমাজের অন্য ১০ জনের চেয়ে তারাও কোনো অংশে কম নয়। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অংশগ্রহণে গতকাল বিকালে জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে অনুষ্ঠানে রাজধানীর মিরপুর-১০ এর বাপ্টিস্ট মিশন ইন্ট্রিগ্রেটেড স্কুলের ২০ জন শিক্ষার্থী একক নৃত্য, দলীয় নৃত্য, একক সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখে। কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনের এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

আবদুল হালিম বয়াতির গানে বিমোহিত শ্রোতারা : আধ্যাত্মিক চেতনা ও ভাবধারার গানের মধ্য দিয়ে আবদুল হালিম বয়াতি সুরের জগতে বিচরণ করছেন স্বমহিমায়। এবার তাঁর গানে গানেই ৯২তম জন্মবার্ষিকীতে সুরের এই সাধকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে দেশবরেণ্য লোকশিল্পীরা। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে জন্মবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠানের    আয়োজন করে শিল্পকলা একাডেমি। আলোচনা-পর্বে বিচার দিনের গানের সম্রাট হিসেবে খ্যাত আবদুল হালিম বয়াতির জীবনের নানা বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে বক্তৃতা করেন প্রাবন্ধিক মফিদুল হক।  স্বাগত বক্তৃতা করেন আবদুল হালিম বয়াতির ছেলে মো. নিশান হালিম।

এরপর দেশের প্রথম লোকবাদ্যযন্ত্র সারিন্দার প্রবর্তক আবদুল হালিম বয়াতি রচিত প্রায় ছয় হাজার গান থেকে বেশ কয়েকটি গান গেয়ে শোনান বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, লায়লা, আশিক, দেলোয়ার বয়াতি, হালিমা পারভীন প্রমুখ। প্রসঙ্গত, লোকসংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০১ সালে আবদুল হালিম বয়াতিকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে বাংলা একাডেমি। এ ছাড়া তিনি আরও পেয়েছেন কবি জসীমউদ্দীন গবেষক স্বর্ণপদক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর