রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নানা আলোচনায় উত্তাপ সংসদে

পাকিস্তানের পক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে তোপের মুখে বিএনপি এমপি হারুন, শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার জন্য আইন করার দাবি, ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচার নিয়ে বাদানুবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নানা আলোচনায় উত্তাপ সংসদে

ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচার রোধে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বাদানুবাদ, শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার জন্য আইন করার দাবি, পাকিস্তানের পক্ষে বিএনপি এমপি হারুনের সাফাই বক্তব্য নিয়ে সরকারি দলের তোপের মুখে গতকাল উত্তাপ ছড়িয়েছে জাতীয় সংসদ। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ১৫তম অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে পয়েন্ট অব অর্ডার ও বিলের ওপর আলোচনার সময় সংসদে হইচই-হট্টগোলসহ সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা বিতর্কে লিপ্ত হন। এর সূচনা করেন বিএনপি এমপি হারুনুর রশিদ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের সময় পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। বিএনপি এমপি হারুন বলেন, ‘সেদিন একজন (সরকারি) সদস্যকে দেখলাম বিভিন্নভাবে বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা বলেছেন। একটি দেশের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ ঠিক নয়।’ এ সময় সরকারি দলের তোপের মুখে পড়েন বিএনপির ওই এমপি। সরকারি দলের সদস্যরা তুমুল হইচই করে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় সংসদে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে   পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এর জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির এমপি হারুনুর রশিদ যেভাবে পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে সংসদে কথা বললেন, এতে তার প্রকৃত চরিত্র বেরিয়ে এসেছে। তারা যে রাজাকার, আলবদর, আলশামসের পক্ষে কথা বলছেন ও রাজনীতি করছেন, তারা যে দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন না, তা প্রমাণিত হয়েছে।’

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ১৫তম অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিএনপি এমপি হারুনুর রশিদ বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হচ্ছে। পাকিস্তান ক্রিকেট টিম বাংলাদেশের সঙ্গে খেলছে। বাংলাদেশ যা-ই খেলুক না কেন, পাকিস্তানের সমর্থকরা তাদের পতাকা ওড়াচ্ছে। এটাকে কেন্দ্র করে একটা বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। মনে রাখতে হবে, তারা কিন্তু আমাদের দেশে মেহমান, অতিথি। আমাদের দেশের ক্রিকেট, আমাদের দেশের ফুটবল, আমাদের দেশের মেয়েরা সারা পৃথিবীতে খেলছে। সেখানে পতাকা ওড়ে না বাংলাদেশের?’ তিনি আরও বলেন, ‘সেদিন একজন সদস্য দেখলাম বিভিন্নভাবে বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা বলেছেন।’ এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা হইচই করে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। হারুন বলেন, ‘পাকিস্তান টিম তো আসার দরকার ছিল না। পাকিস্তানি টিমকে কেন খেলতে দিয়েছেন? খেলতে দিতেন না। দরকারই ছিল না। আপনি তো তাদের অনুমতি দিয়েছেন। তারা এখানে এসেছে। এটি ঠিক নয়। একটি দেশের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ ঠিক নয়। এটি আমাদের জন্য সম্মানের নয়, গৌরবের নয়।’

হারুন ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ থেকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ভারত বার্মার মতো অতীত থেকে মুখ ফিরিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গেও নতুন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। অতীতের তিক্ততা দূর করতে কোনো প্রচেষ্টা থেকে নিবৃত্ত হইনি। ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা প্রদর্শন করে উপমহাদেশে শান্তি সহযোগিতার নতুন ইতিহাস রচনা করেছি। আমরা আমাদের আন্তরিকতার প্রমাণ দিয়েছি। দেশে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে স্বাধীনতার পরপরই ঐতিহাসিক ভূমিকা নিয়েছিলেন, এটি তার ঐতিহাসিক দলিল।’

এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা ব্যাপক হইচইয়ের কারণে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিএনপি এমপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে কথা বললাম, এখানেও যদি বাধা দেন, তাহলে আর কী বলব মাননীয় স্পিকার। আমি এমন কিছু বলিনি, আমি ওনার ভাষণ পড়ে শুনিয়েছি।’ এরপর তিনি যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির সাবেক এমপি আবদুল মোমিন তালুকদারের বিচার প্রসঙ্গে বলেন, ‘সাক্ষী-আলামত ছাড়া কাউকে হত্যা করা একেবারে গোনাহর কাজ। অষ্টম ও একাদশ সংসদের সদস্য আবদুল মোমিন তালুকদারের বয়স তখন (১৯৭১ সালে) ১৮ বছর ছিল। তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ২০১১ সালে জাতিসংঘের কনভেনশনে গিয়েছেন।’

এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় সদস্য, আপনি এখানে কোনো বিচারের বিষয়ে কথা বলতে পারেন না। বিচার হয়েছে, আপনি বসুন।’ পরে তার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার জন্য আইন করার দাবি : এদিকে ‘মহাসড়ক বিল, ২০২১’-এর সংশোধনের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার জন্য আইন করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির এমপি রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘সরকার বলে বেসরকারি গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের নেই। কথাটি সঠিক বা সত্য নয়। কারণ সরকার যদি ব্যবসার জন্য কোনো আইন করে, সেটি মেনে নিয়ে ব্যবসা করতে হয় ব্যবসায়ীদের।’ রুমিন বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বেসরকারি পরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার আইন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সবাইকে তা মানতে হবে। শুধু শহর এলাকার বাসে নয়, সব গণপরিবহনে অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া দিয়ে যাতায়াতের আইনি বিধান করা হোক।’ এ সময় তিনি হাফ ভাড়ার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলেও অভিযোগ করেন। এ ছাড়া মহাসড়ক তৈরিতে অতিরিক্ত ব্যয়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘শুধু ভারত কিংবা চীন নয়, ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশের সড়ক নির্মাণে বেশি ব্যয় হয়। ঢাকা-ভাঙ্গা-মাওয়া মহাসড়কের কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় হয়েছে ২০০ কোটি টাকা, যা পৃথিবীতে নজিরবিহীন।’

বিএনপির বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিআরটিসি বাসে হাফ ভাড়া চালু করা হয়েছে। এটা ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এটা সারা দেশেই বিআরটিসি বাসের জন্য চালু হবে। তিনি বলেন, ‘বেসরকারি যে গণপরিবহন রয়েছে, তাদের ওপর আমরা জোর করে চাপাতে পারি না। তারা তো সরকারের অধীনে না। সরকারের সঙ্গে হয়তো কাজ করে। বেসরকারি গণপরিবহনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত তাদের নেওয়া দরকার। সামাজিক দায়বদ্ধতা ও জনস্বার্থ বিবেচনায় তাদের অনুরোধ করা হয়েছে, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকেও তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।’

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ বিবৃতি দিয়ে ছাত্রদের হাফ ভাড়ার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। যেখানে সাংগঠনিকভাবে তারা হাফ ভাড়ার পক্ষে সেখানে তারা হামলা কেন করতে যাবে? যিনি হামলার কথা বলেছেন তাকে বলব, তারা যে ছাত্রলীগ তার প্রমাণ করুন।

টাকা পাচার নিয়ে সংসদে বাদানুবাদ : একাদশ জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে ‘ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি বিলের’ ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব উত্থাপন করে বিরোধী দলের এমপিরা অভিযোগ করেন, বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। খেলাপি ঋণ ছাড়িয়েছে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। এসব বিষয়ে তারা অর্থমন্ত্রীর জবাব চান। একই সঙ্গে একটি ব্যাংক কমিশন গঠনের দাবি তোলেন।

জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক বলেন, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে রাজনীতিবিদ, আমলাসহ অনেকে টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ আছে। তারা বারবার অনুরোধ করেছেন, এটা নিয়ে তদন্ত হোক। কারণ এই অভিযোগে আমলা, রাজনীতিবিদদের বদনাম হয়। টাকা পাচার হয় কি না, হলে কারা করে, এটা বের করতে তিনি ব্যাংক কমিশন গঠন করে তদন্ত করার দাবি জানান। জাতীয় পার্টির ডা. রুস্তম আলী ফরাজী একই দাবি করে বলেন, অর্থমন্ত্রী দক্ষ, জ্ঞান রাখেন, সহনশীল সবকিছু করেন। কিন্তু ব্যাংকের অনিয়ম, দুর্নীতি, পাচার হলে কত টাকা পাচার হয়েছে, এসব বিষয়ে জানানো উচিত। বিএনপির মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘রাঘব-বোয়ালরা হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে মেরে দিয়ে আয়েশি জীবন যাপন করছে। গরিব মানুষ ঋণ পান না। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একই দলের হারুনুর রশীদ বলেন, ই-কমার্সের নামে লুটপাট হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলছেন, দায় তার নয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন, দায় তার নয়। তাহলে কে দায় নেবে?’ বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, ‘কাগজে-কলমে মন্দ ঋণ ১ লাখ কোটি টাকার মতো। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রাখা ঋণ হিসাব করলে সেটি আসলে মোট চার-সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা।’ তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ, আমলারা টাকা পাচার করেন, এমন শোনা যায়। কারা কত পাচার করেন অর্থমন্ত্রী যদি পরিষ্কার চিত্র দেন, তাহলে রাজনীতিবিদ ও সৎ আমলারা মুক্ত থাকতে পারেন। জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান বলেন, অর্থমন্ত্রী যদি মাঝেমধ্যে খুলে বলেন ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন, তা হলে মানুষ জানতে পারে। না হলে মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। বিদেশে টাকা পাচার হয়, কী ব্যবস্থা নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী যদি বলেন, তাহলে মানুষ একটু শান্তি পায়।

অর্থমন্ত্রী প্রথমে যাচাই ও বাছাই প্রস্তাবের সময় উত্থাপিত অভিযোগের কোনো জবাব দেননি। তবে বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর আনীত সংশোধনী প্রস্তাবের সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘অনেকে অনেকভাবে বলেছেন, এ সংসদেও বলেছেন, দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। আমি আপনাদের (বিরোধী দলের সদস্যদের) বলেছি, যারা পাচার করে, তাদের তালিকা আমাকে দেন। আমি তো পাচার করি না। আমি বিশ্বাস করি, আপনারাও পাচার করেন না। সুতরাং পাচার কে করে, আমি জানব কেমন করে, যদি আপনারা না দেন।’

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘একটি দেশের অর্থনীতির মূল চালক হলো সে দেশের ব্যাংকিং খাত। সারা বিশ্বের অর্থনীতি যখন টালমাটাল অবস্থা, সবাই কিন্তু বলছেন তখন আমরা ভালো করছি।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের সংখ্যা বেড়েছে, গ্রাহক বেড়েছে, আমানত বেড়েছে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ দেশ সৃষ্টির পর থেকে সবচেয়ে কম এখন। ২০০৬ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। এখন সেপ্টেম্বর কোয়ার্টার পর্যন্ত ১ লাখ ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এটা ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। সবচেয়ে নি¤েœ আছে এখন। প্রতিটা ব্যাংক লাভে আছে। ঋণ নিয়ে যারা অনিয়ম করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা করা হয়। ই-কমার্সের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। চলমান মামলার সংখ্যা ২ লাখ ৪৩ হাজার।

নির্বাচনী সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ও

জমিজমার বিরোধ :  আইনমন্ত্রী আনিসুল হক চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতার জন্য ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘দেশব্যাপী প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর কয়েকটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতার খবর প্রচারিত হয়েছে। অনেক সময়ই ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নির্বাচনের সময়ে সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ধর্মীয় সংখ্যালঘু, নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা চালানোর অপচেষ্টা চালায়। এ কারণেও নির্বাচনে অনেক ধরনের সহিংসতা হয়। নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ১৫তম অধিবেশনে গতকাল টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকার প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সংসদ কার্যে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়ে নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ে সতর্ক থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ এ পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা কমিশনকে অবহিত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর