শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সংলাপে ইতিবাচক কিছু হবে না

বদিউল আলম মজুমদার

সংলাপে ইতিবাচক কিছু হবে না

নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগে রাষ্ট্রপতির চলমান সংলাপ কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেছেন, সংলাপের মাধ্যমে অতীতে যেমন নির্বাচন কমিশন হয়েছে তেমনই তো হবে। নতুন ইসি নিয়োগে রাষ্ট্রপতির চলমান সংলাপের বিষয়ে আলাপকালে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন।

এই নির্বাচন বিশ্লেষক বলেন, চলমান সংলাপে একটি রাজনৈতিক দল সার্চ কমিটিতে কারা থাকবেন তাদের নাম দিয়েছে। একটি দল একজন নির্বাচন কমিশনারের নাম দিয়েছে। তারা সার্চ কমিটির সদস্যদের নাম দেয়নি। তারা ইসি গঠনে আইন তৈরির কথা বলেছে। তিনি বলেন, চলমান সংলাপ কোনো ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আসবে না। চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী যাদের নাম সুপারিশ করবেন। তাদেরকেই রাষ্ট্রপতি ইসিতে নিয়োগ দেবেন। এর বাইরে কোনো কিছু করার ক্ষমতা নেই। এই সংলাপ শুধু আনুষ্ঠানিকতা হবে। সংলাপ থেকে ফলপ্রসূ কোনো সমাধান আসবে বলে মনে হয় না। তিনি বলেন, ইসি নিয়োগে রাষ্ট্রপতির সংলাপে কে কী বলল। তাতে তো কিছু আসে যায় না। সংবিধানে ৪৮ অনুচ্ছেদের ৩ দফায় বলা আছে “এই সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুসারে কেবল প্রধানমন্ত্রী ও ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তাঁহার অন্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেন”। তাই প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন, তাই রাষ্ট্রপতিকে শুনতে হবে। এই সংলাপে শুধু ফটোসেশন আর আপ্যায়ন ছাড়া কিছু হবে না। এই নির্বাচন বিশ্লেষক বলেন, সংলাপের মাধ্যমে একটা রাজনৈতিক সমঝোতা হওয়া দরকার। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করাসহ দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। ইসি নিয়োগের সংলাপে কীভাবে রানৈতিক সমঝোতা হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ জন্য বলা যায় সংলাপ অর্থহীন হবে। এই সংলাপ শুধু আনুষ্ঠানিকতা। এ ছাড়া আর কিছু হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আমরা অতীতে দেখেছি কীভাবে ইসি নিয়োগ হয়েছে। এ জন্য এই সংলাপেও ভিন্ন কিছু হবে বলে মনে করি না।

সর্বশেষ খবর