বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন

তিন মালিকসহ সাতজনের জামিন আবেদন খারিজ

আদালত প্রতিবেদক

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ড ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে করা মামলায় লঞ্চের তিন মালিকসহ সাতজনের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। গতকাল নৌ-আদালতের বিচারক স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আসামিরা হলেন লঞ্চের মালিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির তিন মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামিম আহম্মেদ ও মো. রাসেল আহাম্মেদ। এ ছাড়া লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম। এদিন কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাদের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে নৌ-আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বেল্লাল হোসাইন জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর আগে ২৬ ডিসেম্বর স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগমের নৌ-আদালতে নৌ-অধিদফতরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান স্পেশাল মেরিন আইনের ৫৬/৬৬ ও ৭০ ধারায় অভিযোগ এনে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আদালত মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৩ ডিসেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে এমভি অভিযান-১০ বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। লঞ্চটি ঝালকাঠির নলছিটি থানা এলাকা অতিক্রম করার পর রাত আনুমানিক ৩টায় ইঞ্জিন রুমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর লঞ্চঘাটের অনেক আগেই জাহাজে থাকা যাত্রীদের অনেকে নদীতে লাফ দেন। আগুনে কেবিনসহ সবই পুড়ে যায়। ইনচার্জ মাস্টার, ইনচার্জ ড্রাইভার ও সেকেন্ড ড্রাইভার আগুন নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী পুড়ে মারা যান। ওই ঘটনায় ১৫০ জন যাত্রী দগ্ধ হন।

সর্বশেষ খবর