২০২০ ও ২০২১ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৩৫ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) দেওয়া হচ্ছে। পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ রয়েছেন। এছাড়াও র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ও উপপরিচালক মেজর হুসাইন রইসুল আজম মনি পদক পাচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব সিরাজাম মুনিরা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়- অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২০ সালে চারজন র্যাব সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) দেওয়া হচ্ছে। তারা হলেন- রাজশাহী র্যাব-৫ এর শহীদ করপোরাল (জিডি) শাহেদুজ্জামান, চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল, কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর করপোরাল মো. সাহাব উদ্দিন ও সৈনিক মো. ইমরান হোসেন। একই বছরে র্যাবের ছয়জনকে দেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)। তারা হলেন- র্যাব-১০ এর মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর রহমান, র্যাব-১ এর লে. কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন, র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস, ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের, চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাশকুর রহমান ও র্যাব-১ এর কনস্টেবল মো. রিমন হোসেন। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য চার র্যাব সদস্যকে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা)। তারা হলেন- রাজশাহী র্যাব-৫ এর অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান, র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রকিবুল হাসান, সিলেট র্যাব-৯ এর লে. কর্নেল আবু মুসা মো. শরীফুল ইসলাম ও কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর মেজর মো. মেহেদী হাসান। একই বছর র্যাবের আরও চারজনকে দেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)। তারা হলেন- র্যাব-৪ এর মেজর মো. রকিবুল হাসান, কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর মেজর মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, র্যাবের এয়ার উইংয়ের মেজর মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ও র্যাব সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম সাজ্জাদুল আলম। পৃথক আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ২০২১ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনজন র্যাব সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) দেওয়া হচ্ছে। তারা হলেন- র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র্যাব-৪ এর সার্জেন্ট মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম ও র্যাব-১ এর কনস্টেবল মো. ইদ্রিস মোল্লা। একই বছর র্যাবের ছয়জনকে দেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)। তারা হলেন- র্যাবের উপপরিচালক আ ন ম শাকিল নেওয়াজ, র্যাবের উপপরিচালক মেজর মো. ফজলে রাব্বি, র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোর্শেদুল হাসান, র্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক মো. আরিফুর রহমান, চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর নায়েক মো. ওবায়দুল হক সরকার ও র্যাব-১৪ এর সৈনিক মো. মাসুদুর রহমান। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য র্যাবের তিন সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা) দেওয়া হচ্ছে। তারা হলেন- র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন, র্যাব-৪ এর মেজর মো. কামরুল হোসেন ও র্যাবের উপ-পরিচালক মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন। এছাড়াও ২০২১ সালের জন্য র্যাবের পাঁচজনকে দেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)। তারা হলেন- র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার উপপরিচালক মেজর হুসাইন রইসুল আজম মনি, র্যাবের উপপরিচালক মেজর মোহাম্মদ আরাফাতুল ওসমানী, র্যাবের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ নাছির উদ্দিন ও র্যাব-১০ এর সিপাহি সোহেল রানা।