শনিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

২০ বছর ছদ্মবেশ ধারণের পর ধরা ফাঁসির আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

২০ বছর ছদ্মবেশ ধারণের পর ধরা ফাঁসির আসামি

আপন ভাইসহ দুজনকে খুন করে আত্মগোপনে যান সৈয়দ আহম্মেদ। ছদ্মবেশ ধারণ করে কখনো হন নৌকার মাঝি, কখনো দারোয়ান। কখনো বা মাজারের বাবুর্চি। নিজেকে রক্ষায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন পরিবার-পরিজনের সঙ্গেও। নিজের নাম পরিবর্তন করে বানান দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে ২০ বছর ছিলেন ছদ্মবেশে। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে মহানগরের আকবর শাহ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার হলেন।

র‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, লোহাগাড়ার আলোচিত ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ছদ্মবেশে আকবর শাহ থানা এলাকায় অবস্থান করছেন এ তথ্যের ভিত্তিতে সৈয়দ আহম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ২০ বছর ধরে ছদ্মবেশে ছিলেন। তৈরি করেন নিজের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র। গ্রেফতার এড়াতে পরিবার-পরিজনের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখেন।

জানা যায়, ২০০১ সালের ৯ নভেম্বর আপন ভাইকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন সৈয়দ আহম্মেদ। এ মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিলেন ব্যবসায়ী জানে আলম। তাই জানে আলম যাতে তাকে ফাঁসাতে না পারেন এজন্য তাকেও হত্যার পরিকল্পনা করেন সৈয়দ আহম্মেদ। ২০০২ সালের ৩০ মার্চ ব্যবসায়ী জানে আলমকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় ছেলে তজবিরুল আলম বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় ২১ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। সৈয়দ আহম্মেদ এর ২ নম্বর আসামি। ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই জানে আলম হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত। যাতে সৈয়দ আহম্মেদসহ ১২ জনকে মৃত্যুদন্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর