বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

পাহাড়ে বৈসাবি উৎসব শুরু

রাঙামাটি প্রতিনিধি

পাহাড়ে বৈসাবি উৎসব শুরু

বৈসাবির রং লেগেছে পাহাড়ে। ১০ ভাষাভাষী ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব এ বৈসাবি। তাই উৎসবকে ঘিরে বসানো হয়েছে হরেক রকম মেলা। বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী এ বৈসাবিকে ভিন্ন নামে পালন করে থাকে। চাকমা-বিজু-মারমা-সাংগ্রাইং-ত্রিপুরা-বৈসুক-তঞ্চঙ্গ্যা-বিষু আর অহমিয়া-বিহু বলে পালন করে এ বৈসাবি। পাহাড়ের আনাচে-কানাচে সর্বত্র এখন সাজ সাজ রব। রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে বসেছে হরেক রকম বাহারি পণ্যের স্টল। সব স্টল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাচাং ঘরের আদলে তৈরি। বাঁশ আর কাঠ দিয়ে। আর এসব স্টলে স্থান পেয়েছে- চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, বম, চাক, পাংখোয়া, লুসাই, খুমী ও খিয়াং নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি, সংস্কৃতি, খাবার, নিত্যব্যবহার্য বিভিন্ন পণ্যসমগ্রী। এ মেলাকে আরও আকর্ষণীয় করতে যোগ দিয়েছে দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের শিল্পীরা। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে বিজু-সাংগ্রাইং-বৈসুক-বিষু-বিহু অর্থাৎ বৈসাবি মেলা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এ সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইমতাজ উদ্দীন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অং সুই প্রু চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদাছছের হোসেন উপস্থিত ছিলেন। গতকাল ছিল মেলার দ্বিতীয় দিন। মেলা-উৎসব মাতিয়ে তুলেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। তাদের নূপুরের ছন্দ আর বাঁশির সুরে ছুটে আসে হাজার হাজার দর্শক। মানুষের পদভারে কানায় কানায় ভরে যায় মেলা প্রাঙ্গণ। মেলা ঘিরে পাহাড়ি-বাঙালিসহ সব ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সম্প্রীতির মিলনক্ষেত্র পরিণত হবে। তাছাড়া মেলা চলাকালীন স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণ করতে মূলত এ বৈসাবি উৎসবটিকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে চার দিনব্যাপী আয়োজন করা হয় বিজু-সাংগ্রাইং-বৈসুক-বিষু মেলা। এ মেলায় বসেছে ঐতিহ্যবাহী সংগীত ও নৃত্য। বসেছে পিঠা-পুলির আসর। শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন খেলাধুলার প্রতিযোগিতা, চাকমা নাটক, পাচন রান্না প্রতিযোগিতাসহ ম্যাহাজিন অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ, পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর জীবনধারার ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে মেলা প্রাঙ্গণ।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর