রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

সবার ভালোবাসার পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিন

সালাউদ্দিন মোহাম্মদ নোমান, সভাপতি, সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সবার ভালোবাসার পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিন

সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি সালাউদ্দিন মোহাম্মদ নোমান বলেছেন, ‘ঢাকায় আমাদের সমিতির মাধ্যমে দেড় লাখ কপি সংবাদপত্র বিক্রি হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন বিক্রি হয় সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে প্রথম আলো। তবে একমাত্র বাংলাদেশ প্রতিদিনের কোনো কপি ফেরত  আসে না। শুধু পাঠক নয়, হকারদেরও ভালোবাসার পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিন। কারণ এ পত্রিকার মালিকপক্ষ হকারদের বিপদে-আপদে সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন। অন্যদিকে পাঠকও পত্রিকাটি চায়, আর বিক্রি বেশি হলে কমিশনও বেশি।’

তিনি জানান, তার সমিতির মাধ্যমে হকাররা ঢাকা শহর ও শহরতলিতে সংবাদপত্র বিক্রি করেন। তাদের কাছে আসা দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ৫০টির মতো। এর মধ্যে তারা বাংলাদেশ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার কপি, প্রথম আলো ২৩ হাজার কপি, কালের কণ্ঠ ২ হাজার ৩০০ কপি, আমাদের সময় ৬ হাজার কপি, দেশ রূপান্তর দেড় থেকে ২ হাজার কপি, সময়ের আলো দেড় থেকে ২ হাজার কপি রাখা হয়। সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাকসহ অন্যান্য পত্রিকাও দেড় থেকে আড়াই হাজার কপি করে আসে। বাংলাদেশ প্রতিদিন ছাড়া অন্যসব পত্রিকা কমবেশি ফেরত আসে।

ঢাকার এই হকার নেতা জানান, তিনি ৩১ বছর ধরে পত্রিকা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার সমিতির আওতায় ৩৭টি বিক্রয় কেন্দ্র ও ২ হাজারের মতো হকার রয়েছেন। শুধু পাঠক নয়, হকারদেরও ভালোবাসার পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিন। পত্রিকাটি প্রথম থেকেই হকারবান্ধব। এর মালিকপক্ষ সব সময় বিপদে-আপদে হকারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনায় সব পত্রিকার বিক্রি যখন কমে গিয়েছিল, হকারদের সংসার চালানো দায় তখন বাংলাদেশ প্রতিদিনের মালিকপক্ষ সব হকারকে চাল, ডাল, তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন। অন্যরা তা করেননি। তাই হকারদের মনে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন।

তবে শুধু হকারদের ভালোবাসায় পত্রিকার সার্কুলেশন বাড়ে না উল্লেখ করে সালাউদ্দিন নোমান বলেন, পত্রিকাটিতে ছোট করে হলেও গুরুত্বপূর্ণ সব নিউজ পাওয়া যায়। অহেতুক নিউজ বড় করে না তারা। লেখাও সহজ-সরল। সব শ্রেণির মানুষের জন্য নিউজ থাকে। মাত্র ৫ টাকায় সব খবর পেয়ে যায় পাঠক।

এজন্যই জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। পাঠক চাইলে হকার তো জোর করে অন্য পত্রিকা ধরিয়ে দিতে পারে না। একসময় রাস্তাঘাটে, গাড়িতেই পত্রিকাটি বেশি বিক্রি হতো। বর্তমানে বাসা-বাড়ি, অফিস, দোকান সর্বত্র চাহিদা বেড়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর