শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
কৃষি

গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে নওগাঁর সবুজ

নওগাঁ প্রতিনিধি

গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে নওগাঁর সবুজ

নওগাঁর বদলগাছীতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষক সবুজ হোসেন। শখের বশে তরমুজ চাষ করে তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। কম পরিশ্রম ও ভালো দাম পেয়ে খুশি তিনি। তার তরমুজের খেত  দেখতে এবং পরামর্শ নিতে আসছেন আশপাশের কৃষকরা।

সবুজ হোসেন বলেন, ওপরে সবুজ পাতা আর মাচার নিচে ঝুলে আছে কালো ও সাদা রঙের তরমুজ। গাছ থেকে যাতে ছিঁড়ে না পড়ে তার জন্য প্রতিটি তরমুজে দেওয়া আছে জালি। এমন দৃশ্য জেলার বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর গ্রামের মাঠে। এ জমিতে আগে পটোল ও করলা আবাদ করা হতো। কিন্তু এ বছর সবুজ হোসেন মৌসুমি সমন্বিত কৃষি ইউনিটের পরামর্শে মালচিং পদ্ধতিতে ২২ শতাংশ জমিতে ব্ল্যাক বেবি এবং ব্ল্যাক কিং জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। প্রতিটি তরমুজের ওজন প্রায় ২-৪ কেজি। খেতে প্রায় ১ হাজার তরমুজের জালি দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তরমুজ বাজারজাত শুরু করেছেন তিনি। প্রতি কেজি তরমুজ ৪২-৪৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন। সবুজ বলেন, মোট ২২ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ, বীজ ও মাচা তৈরিতে খরচ পড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। আড়াই মাসের এ আবাদে খরচ বাদে প্রায়  লাখ টাকা লাভ থাকবে তার। তার দেখাদেখি এখন বদলগাছীর অনেকেই তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

জমিতে চাষ দিয়ে পরিমাণ মতো সার ও  জৈব সার প্রয়োগ করা হয়। এরপর নির্দিষ্ট দূরত্বে মালচিং পেপার দিয়ে  ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর চারা রোপণ করা হয়। এর দুই থেকে তিন দিন পর জমিতে সেচ দেওয়া হয়। গাছ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি গাছে খুঁটি এবং ১৫ থেকে ২০ দিন পর মাচা তৈরি করে দেওয়া হয়। ফল বড় হওয়ার সময় নেট বা জালি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। যেন গাছ থেকে ছিঁড়ে না যায়। গাছ লাগানোর ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যে ফল উঠানো যায়। বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, ধানের পাশাপাশি কৃষকদের বিভিন্ন ফল ও শাকসবজি চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এর আগেও বদলগাছীতে ব্ল্যাক বেবি এবং ব্ল্যাক কিং তরমুজ চাষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। তরমুজ একটি লাভজনক অর্থকরী ফসল। চাষিরা যেন গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে ব্যাপকভাবে উৎসাহ পায় সে বিষয়ে কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

সর্বশেষ খবর