সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মধ্যরাতে দুই সন্তানের মা তাসলিমা খাতুনকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার গাবুরার সোরা গ্রামে এ ঘটনায় নিহত তাসলিমা খাতুন এলাকার ইসমাইল গাজীর স্ত্রী। অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এদিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এক নারীকে আটক করেছে।
নিহতের মেজো জা পারুল বেগম জানান, সংসারে অভাব-অনটনের কারণে আমার দেবর বিভিন্ন জেলায় দিনমজুরের কাজ করেন। দুই ছেলে রেখে ঢাকায় রিকশা চালাতে যান। বড় ছেলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ছেলের বয়স তিন বছর। রাত ১টার দিকে জা তাসলিমার দুই ছেলে ঘরের মধ্যে অনেক সময় ধরে কান্নাকাটি করছিল। কান্নার শব্দ শুনে সেখানে গিয়ে দেখি তাসলিমা ঘরে নেই। ছেলে দুটি খাটের ওপর বসে কাঁদছে। এমন সময় আমার স্বামী ও ভাসুর আমাকে বলেন, তাসলিমা বাথরুমে গেছে কি না দেখতে বলেন। কিন্তু সেখানে না পেয়ে হঠাৎ বাড়ির বাইরে টর্চলাইট মারতেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। এলাকাবাসীসহ একাধিক সূত্র জানান, অভাব অনটনের সংসার হওয়ায় একই গ্রামের সোলায়মান খাঁর ছেলে সাহেব আলীর অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি এ নৃশংস ঘটনা ঘটাতে পারেন। ঘটনার পর থেকে সাহেব আলী পালাতক? রয়েছেন। এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, হত্যার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ কাজ করছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাহেব আলীর মা ফাতেমা বেগমকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
