বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে স্কুলছাত্রী (১২) ধর্ষণ মামলায় সাদিক শোভন (২২) নামে এক টিকটকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলা সদর কলেজ রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার শোভন মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে। টিকটক করায় এলাকায় তিনি ‘টিকটকার শোভন’ নামেও পরিচিত। বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান পুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম বলেন, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে শোভনের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর পরিচয় হয়। এরই সূত্র ধরে ফেসবুক ও ইমো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তারা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে মোরেলগঞ্জ বাজারে গেলে ওই স্কুলছাত্রীকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন তা গোপনে ভিডিও করে রাখেন। পরে ওই ভিডিও দেখিয়ে ব্লাকমেইল করে একাধিকবার ধর্ষণ ও কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সর্বশেষ গত ২১ আগস্ট ওই ছাত্রীর মোড়েলগঞ্জের ভাড়া বাসায় এসে আরও চারজনের সহায়তায় তাকে ফের ধর্ষণ করেন।

ঝালকাঠিতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেফতার চার : ঝালকাঠির নলছিটিতে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের শেখরকাঠি গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতাররা হলেন, মোজাম্মেল সিকদার রাঙ্গা, আরিফ হোসেন, শাহিদা বেগম ও আছমা বেগম। গতকাল বিকালে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের শেখরকাঠি গ্রামের লিটন হাওলাদারের স্ত্রী শাহিদা বেগম ঢাকার কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা চৌধুরীপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকেন। তাদের পাশের বাসার এক কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুবাদে শাহিদার সঙ্গে ওই কিশোরী গত ২৯ আগস্ট নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওইদিন বিকালে শাহিদার বাসায় পোনামাছ ব্যবসায়ী মোজাম্মেল সিকদার রাঙ্গা, আরিফ হোসেন ও রাসেল হাওলাদার কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শাহিদা বেগম ও আছমা বেগম নামে আরেক নারী এ ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন।