বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সালাম নিলেই সর্বনাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সহজ-সরল সাধারণ পথচারীকে টার্গেট করে প্রথমে সালাম দিয়ে পথ আটকাত ওরা। এতে পরিচিত ভেবে টার্গেট ব্যক্তি একটু থামতেন। চক্রের সদস্যরাও সাধারণ মানুষকে থামিয়ে সময় ক্ষেপণ করত। একপর্যায়ে আশপাশে ঘাপটি মেরে বসে থাকা তাদের অন্য সহযোগীরা এলে সবাই মিলে হুমকি দিয়ে সবকিছু বের করে দিতে বলত। এতেও কাজ না হলে অস্ত্র আছে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে টার্গেট ব্যক্তির সব কিছু নিয়ে সটকে পড়ত। অভিনব এ পন্থায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সাধারণ পথচারীদের সর্বস্ব লুটে নিত একটি চক্র। অবশেষে পিন্টু মিয়া ও মো. সুমন নামে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আগারগাঁও ডাক ভবনের সামনে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এভাবে ৮০ হাজার টাকা লুটের ঘটনায় ২১ আগস্ট একটি মামলা দায়ের হয়। মামলাটি তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে এ দুজনকে শনাক্ত করা হয়। রাজধানীর শ্যামলীতে গতকাল নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক। তিনি বলেন, রাজধানীতে সালাম দেওয়া ও নেওয়াকে পুঁজি করে একশ্রেণির ছিনতাইকারী চক্র গড়ে উঠেছে। যাদের পুলিশি কথ্য ভাষায় ‘সালাম পার্টি’ বলা হয়।

 তারা ফুটপাতে সাধারণ মানুষকে সালাম দিয়ে গতি রোধ করে, এরপর অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে সবকিছু কেড়ে নেয়। অস্ত্রের ভয় দেখালেও তাদের কাছে কোনো অস্ত্র থাকত না। যেহেতু তাদের কাছে কোনো অস্ত্র থাকত না, সাধারণ মানুষের মতোই ঘোরাফেরা করত। তাদের সঙ্গে কোনো আলামতও ছিল না। তাই চিহ্নিত করে গ্রুপটিকে ধরা কঠিন ছিল। এ ধরনের প্রতারণা এড়াতে মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পথে কেউ সালাম দিয়ে সময় ক্ষেপণ করতে চাইলে যেন এ বিষয়ে সতর্ক থাকে সবাই। কোনোভাবেই দাঁড়ানো যাবে না বা এমন হলে পুলিশকে বিষয়টি জানানোর আহ্বান জানান তিনি। এদিকে কারওয়ান বাজারে মঙ্গলবার পৃথক অভিযানে র‌্যাব সদস্য পরিচয়ে চাঁদাবাজি করা এনায়েত শেখ ও আবদুর রহমান মুন্সিকে গ্রেফতার করা হয়। তারা সঙ্গে ওয়াকিটকি রাখত। তারা কারওয়ান বাজার মাছের আড়তে শ্রমিকদের কাছে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে ভয়ভীতি দেখায়। বিষয়টি শ্রমিকরা পুলিশকে জানালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর