বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

কুমিল্লার সাত শিক্ষার্থীর কথিত হিজরতের নেপথ্যে ডা. শাকির : সিটিটিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর রামপুরা থেকে গ্রেফতার চিকিৎসক শাকির বিন ওয়ালী নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলে দাবি করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। কুমিল্লার সাত কলেজশিক্ষার্থীর কথিত হিজরতের নেপথ্যেও তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ সংস্থাটির।

সিটিটিসি বলছে, তাকে মঙ্গলবার রামপুরার হাজীপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিন মগবাজার থেকে শাকিরের সহযোগী আবরারুল হককেও (১৮) গ্রেফতার করা হয়। তিনি কথিত হিজরতের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডা. শাকির ও আবরারুলের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আহমেদ হুমায়ূন কবীর রিমান্ডের এ আদেশ দেন। সিটিটিসির পরিদর্শক মিজানুর রহমান দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে রামপুরা থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিন মঞ্জুর করেন। আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। এর আগে শাকিরের বাবা ডা. এ কে এম ওয়ালী উল্লাহ অভিযোগ করেছিলেন, রবিবার রামপুরার বাসা থেকে তাঁর ছেলেকে সিআইডি পরিচয়ে সাদা পোশাকের চার ব্যক্তি তুলে নিয়ে যান। ওইদিন রাত ১০টায় তারা আবার এসে শাকিরের মোবাইল ফোন নিয়ে যান।

গতকাল সিটিটিসি-প্রধান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মগবাজার থেকে আবরারুলকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডা. শাকিরকে গ্রেফতার করা হয়। শাকির আবরারের মাধ্যমে কুমিল্লার নিখোঁজ সাত কলেজছাত্রকে তৌহিদ ও জিহাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। তাদের দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নিখোঁজ সাত কলেজছাত্রের বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিটিটিসি বলছে, শাকির নানাভাবে তরুণদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে আসছিলেন। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জঙ্গি সংগঠনটির জন্য সদস্য সংগ্রহ, সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও কথিত হিজরতে যেতে সহায়তা করতেন।

 

সর্বশেষ খবর