শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

শব্দ গুরুতর মানসিক রোগের উৎস

ডা. মেখলা সরকার

শব্দ গুরুতর মানসিক রোগের উৎস

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথের (NIMH) সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার বলেন, ‘অতিরিক্ত শব্দ গুরুতর মানসিক রোগের উৎস। কারণ উচ্চ শব্দ আমাদের    দৈনন্দিন জীবনে সৃষ্ট নানা ধরনের মানসিক চাপ মোকাবিলায় বাধা দেয়। চাপ সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে না পারলে মানসিক সুস্থতা বাধাগ্রস্ত হয়।’

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, দৈনন্দিন জীবনে মানুষ প্রতিনিয়ত নানা চাপের মধ্য দিয়ে যায়। এ চাপ মোকাবিলার একটা ক্ষমতাও তার থাকে। তবে সে ক্ষমতা পুরোপুরি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন সুস্থ পরিবেশ। উচ্চমাত্রার শব্দ সে পরিবেশ নষ্ট করে দেয়। উচ্চ শব্দ বিরক্তির উদ্রেক করে, রাগ ও চাপা উত্তেজনা তৈরি করে। তখন মানুষের মনের চাপ মোকাবিলায় বাধা তৈরি হয়। তিনি বলেন, মানুষের মস্তিষ্ক সারাক্ষণ সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সংকেত দেয়। এজন্য হঠাৎ অনেক জোরে শব্দ হলে মানুষ ভয় পায়, কেঁপে ওঠে। হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। অর্থাৎ উচ্চ শব্দকে মস্তিষ্ক বিপদ মনে করে। শব্দ তাই মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়। উদ্বেগ নিদ্রাহীনতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। অন্যদিকে আবাসিক এলাকায় শব্দের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। আর মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। শব্দের কারণে সৃষ্ট উদ্বেগ ও নিদ্রাহীনতায় একজন ব্যক্তির মেজাজ খিটখিটে হতে পারে। রাগ বেড়ে যেতে পারে। মনোযোগ দিয়ে কাজ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। শিশুদের শেখার ক্ষমতায় প্রভাব ফেলতে পারে। এ ছাড়া মানসিক চাপ ও নিদ্রাহীনতা শরীরের নানা অঙ্গকে প্রভাবিত করে। যে ব্যক্তি গাড়ির হর্ন বা মাইক বাজাচ্ছেন, তিনি নিজেও একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে।

সর্বশেষ খবর